রান্নায় স্বাদবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় মশলাটিতে পুষ্টিগুণের অভাব নেই। হার্টের সুস্থতা থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ওজন হ্রাস থেকে কোষের সুরক্ষা— সবেতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে রসুনের। কিন্তু এমস এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট সৌরভ শেট্টি সমাজমাধ্যমে জানাচ্ছেন, আপনি কী ভাবে রান্নায় রসুনকে ব্যবহার করছেন, তার উপর নির্ভর করছে, এই মশলা স্বাস্থ্যের উপকারে লাগছে, না কি কেবলই খাবারের স্বাদবৃদ্ধি করছে। চিকিৎসক একটি বিশেষ নিয়ম শেখাচ্ছেন, কী ভাবে রসুন ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
রসুনের সমস্ত গুণাবলির মূল উৎস অ্যালিসিন নামক এক যৌগ। রসুনের মধ্যে অ্যালিনেজ় নামক এনজ়াইম এবং অ্যালিন নামক প্রোটিন মিলে তৈরি হয় অ্যালিসিন। আর তার জন্য প্রয়োজন বাতাসের। রসুন কাটলে, থেঁতো করলে বা পিষলেই কেবল এর মধ্যে যৌগটি তৈরি হতে পারে। কিন্তু অনেকেই কাটাকুটির সঙ্গে সঙ্গে রসুন গরম তেলে ফেলে দেন। এতে অ্যালিসিন তৈরি হওয়ার সুযোগই পায় না, আর রসুনের গুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। এর থেকে রেহাই পেতেই সৌরভ রসুন দিয়ে রান্নার বিশেষ কৌশল শেখাচ্ছেন। রসুন পিষে বা কেটে অন্তত ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে অ্যালিসিন তৈরি হয় এবং পরে রান্না করলেও তা অটুট থাকে। এ ভাবে খেলে রসুন তার পূর্ণ শক্তি প্রকাশ করতে পারে।
রসুনের এই অ্যালিসিন যৌগ শরীরে নানা উপকারে আসে—
১. রক্তচাপ কমিয়ে হৃদ্যন্ত্রকে ভাল রাখে।
২. খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমায় ও ভাল কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়ায়।
৩. প্রদাহ ও সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
৪. অন্ত্রের বাস্তুতন্ত্রের (অর্থাৎ হজম, মেজাজ, বিপাক, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখে, ফলে হজম ভাল হয়।
৫. কোষের ক্ষয় রোধ করে শরীরে বার্ধক্যের গতি ধীর করে।