স্থূলত্বের হাত ধরে যে সব সমস্যা আমাদের ঘাড়ে শ্বাস ফেলে, তার মধ্যে অন্যতম ফ্যাটি লিভার। খাবার থেকে পাওয়া ফ্যাট লিভারে জমা হতে হতে এই সমস্যা আরও বড় আকার নেয়। তাই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে খাওয়াদাওয়া সংক্রান্ত নানা সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। লিভার সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ চর্বি শোষণ করতে পারে। এর চেয়ে বেশি চর্বি জমা হলে তা বিপজ্জনক। সময় মতো চিকিৎসা না করালে এই অসুখের হাত ধরে সিরোসিস অব লিভারও হানা দিতে পারে। ডায়াবিটিস, থাইরয়েডের মতো হরমোনজনিত নানা অসুখেও ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা বাড়ে। প্রথম থেকে সাবধান না হলে এই অসুখের জেরে লিভারের বড়সড় ক্ষতি হতে পারে।
লিভারে ফ্যাট জমার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ভরসা রাখতে পারেন কফির উপর। গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট শুভম বৎস সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে বলেন, ‘‘কেবল সকালের ঘুমভাব কাটাতেই নয়, কালো কফি কিন্তু লিভারের দাওয়াই হতে পারে। তবে কফি খেতে হবে দুধ, চিনি ছা়ড়া। কালো কফি লিভারের জন্য বেশ ভাল। লিভারে জমে থাকা ফ্যাট গলিয়ে দিতে পারে এবং লিভারকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা করে এটি।’’
কত কাপ কফি খাওয়া স্বাস্থ্যকর?
চিকিৎসক শুভম বলেন বেশ কয়েকটি গবেষণায় কালো কফির উপকারিতার কথা প্রমাণ করা হয়েছে। চিকিৎসক বলেন, ‘‘দিনে তিন-চার কাপ কালো কফি খেলেই যথেষ্ট। এতেই আপনার লিভারের স্বাস্থ্য ভাল হবে, বিপাকহার বাড়বে, শরীরে ফ্যাট জমার মাত্রাও কমবে। লিভারের জন্য কফি কিন্তু ভাল রক্ষাকবচ হতে পারে।’’
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ-এর একটি রিপোর্টেও বলা হয়েছে, লিভারের সমস্যায় কালো কফি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এই পানীয় লিভার ক্যানসারের ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করে। লিভার ফাইব্রোসিস, লিভার সিরোসিস, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিও কমে নিয়মিত কালো কফি পানে।