কানে ব্যথা, কান ভারী লাগা বা কানের সমস্যার পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে। শুধু মাত্র শীতকালে ঠান্ডা লেগেই কিন্তু কানে সংক্রমণ হয় না। সারা বছরেই কানে সংক্রমণ হতে পারে। কী কারণে তা হয় এবং কী ভাবে তা রোধ করা সম্ভব, তা আগে জেনে রাখা ভাল।
মধ্যকর্ণেই সংক্রমণ বেশি ঘটে। অনেকেরই স্বভাব থাকে কটন বাড দিয়ে সারাক্ষণ কান পরিষ্কার করার। সেটা আরও বিপজ্জনক। মনে রাখতে হবে, সেগুলো হল কটন বাড। ইয়ার বাড নয়। প্রত্যেকের কানেই একটা ওয়্যাক্সের স্তর থাকে, যা কানের অন্দরমহলকে বাইরের ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে। কিন্তু ঘনঘন কটন বাড দিয়ে কান খোঁচালে সেই স্তর নষ্ট হয়ে যায়। আর তার সঙ্গে যাঁরা সাঁতার কাটেন, তাঁদের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কারণ সুইমিং পুলের জলে অত্য়ধিক ক্লোরিন থাকে, তার থেকেও সংক্রমণ ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন:
কানের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
• অল্প অল্প করে সেঁক দেওয়া যেতে পারে। গরম তেল জাতীয় কোনও কিছু কানের ভিতরে দেবেন না।
• অনেক সময়ে গরম জলের ভাপ নিলেও কানের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
• প্রত্যেকটি ইয়ারড্রপ ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। কোনও মতেই পুরনো ইয়ারড্রপ ব্যবহার করবেন না।
• কানে আঙুল দিয়ে খোঁচাবেন না। নখ বড় থাকলে তা থেকে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কানে ব্যথা হলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে হালকা সেঁক নেওয়া যেতে পারে। কানে জল ঢুকে গেলে অনেকেই ফের কানে জল ঢুকিয়ে সেই কান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। সেটা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়।
রোজ স্নানের পরে তোয়ালে দিয়ে কানের যতটা অংশ পারবেন, মুছে নিন। জোর করে কানের ভিতরে খোঁচাখুচি করবেন না।
মোবাইলের সঙ্গে সকলেই প্রায় ইয়ারফোন ব্যবহার করে থাকেন। কারও সঙ্গে ইয়ারফোন শেয়ার না করাই ভাল। নিজের ইয়ারফোনও আলাদা বাক্সে ভরে ব্যাগে বা পকেটে ক্যারি করুন। ইয়ারফোন ব্যাগের মধ্যে ফেলে রেখে দিলে তাতে ধুলোবালি ও ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। কানে গোঁজার সময়ে তা সহজেই কানের ভিতরে প্রবেশ করে। ফলে সংক্রমণ হতে বেশি সময় লাগে না।