ছোটবেলায় বেসন আর ডাল বাটা মাখিয়ে স্নান করিয়ে দিতেন মা। স্কুল-কলেজের সময়ে যখন রোদে বেরিয়ে ত্বকে দাগছোপ পড়ত বা গুটি গুটি ব্রণ গজাত মুখে, তখনও মায়েদের টোটকাতেই কাজ হত বেশি। একেবারেই ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই রূপচর্চায় বিশ্বাসী ছিলেন মা-ঠাকুমারা। সে সময় বাজারচলতি এত প্রসাধনীর রমরমা ছিল না। সাধারণ ঘরোয়া উপকরণেই ত্বক থাকত স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, চকচকে। পুজোর সময়ে ত্বকের জেল্লা ফেরাতে তেমনই ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। পুজো এসেই গেল। সালোঁয় গিয়ে ফেশিয়াল করার সময় যদি না থাকে, তা হলে মায়েদের টোটকাতেই কাজ হবে বেশি।
ত্বকের পরিচর্যায় মায়েদের পুরনো টোটকা
দুধের সর
দুধের স্বর। মনে করে দেখুন, রোদে পোড়া ত্বকে মায়েরা পরম স্নেহে দুধের স্বর মাখিয়ে দিতেন। কিছুদিনেই ত্বকের কালচে দাগ উঠে যেত। দুধে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ত্বকের মৃত কোষ তুলে দেয়। পরিষ্কার দেখায় ত্বক। চটজলদি জেল্লা ফিরে আসে।
আরও পড়ুন:
বেসন ও মুসুর ডাল বাটা
বেসন আর মুসুর ডাল বাটা ছোটবেলায় হয়তো অনেকেই মেখেছেন। এই দুই উপাদানই প্রাকৃতিক ক্লিনজ়ার হিসেবে বেশ কার্যকরী। মুখে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করলে সপ্তাহে দু’-তিন দিন ডাল বাটা মাখলেই ত্বক টানটান হবে। ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলেও মুসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের কালো দাগ দূর করতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
টক দই-চন্দনের প্যাক
প্রথমে একটি পাত্রে বেসন এবং টক দই ভাল করে মিশিয়ে নিন। তার পর ওই মিশ্রণের মধ্যে দিন লেবুর রস, দুধ, চন্দনের গুঁড়ো এবং হলুদ। সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিন। স্নানের আগে এই মিশ্রণ মেখে নিন। কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে এলে হালকা হাতে মাসাজ করুন। তার পর স্নান করে নিন।