অনেকেই সকাল শুরু করেন মধু সেবন করে। বিশেষত শীতে মধু খাওয়ার চল বেড়ে যায়। কেউ আবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উষ্ণ জলে লেবু-মধু মিশিয়ে পান করেন। কেউ আবার সর্দি-কাশির হাত হতে বাঁচতে সরাসরি এক-দু’চামচ মধু খান। খাঁটি মধুতে যথেষ্ট পরিমাণে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, বেশ কিছু ভিটামিন, খনিজ— যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মধু প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল সুইটনার, তাই অনেকেই চিনির বিকল্প হিসেবে খাবারে মধু ব্যবহার করেন। কিন্তু নিয়মিত মধু খেলে কি শারীরিক সমস্যার সমাধান হয় নাকি অতিরিক্ত মধু শরীরে সমস্যা তৈরি করে? মধু কখন ও কী ভাবে খাবেন, তা জেনে নেওয়া জরুরি।
মধু কখন খাবেন?
- সর্দি-কাশি, বুকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং যাঁদের চট করে ঠান্ডা লেগে যায় তাঁদের জন্য মধু ভাল।
- হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে মধু সহায়ক।
- অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান থাকায় মধু ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। যেমন, গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল ট্র্যাকে সংক্রমণ হলে বা ব্যাক্টেরিয়ার সমস্যা রোধে মধু উপযোগী।
- প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক হিসেবেও মধু বেশ ভাল।
কী ভাবে খাবেন মধু?
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে মধু ও লেবু মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কম নয়। ওজন যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনই হজমশক্তিও বাড়বে। সকাল থেকেই শরীর তরতাজা থাকবে, ক্লান্তিভাব কমবে। যদি অম্বলের সমস্যা বেশি থাকে, তা হলে লেবু বাদ দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে উষ্ণ গরম জলে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা এক চামচ মধু এমনিই খেয়ে নেবেন।
শরীরচর্চা করার আগে বা পরে মধু খেলে শরীর তরতাজা থাকে। সাধারণত দেখা যায়, শরীরচর্চা করার পরে ক্লান্তিভাব বাড়ে। তখন মধু খেলে শরীরে জোর পাওয়া যাবে। আবার যাঁদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তাঁরা রাতে শোয়ার আগে এক চামচ মধু খেতে পারেন।
অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান থাকায় মধু ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। খাদ্যনালিতে সংক্রমণ হলে তার জন্যও মধু উপকারী। অন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার প্রভাব কমায় মধু। তবে মধু খেতে হবে পরিমিত। এক বা দু’চামচের বেশি নয়।