টি-শার্ট, টপ, কুর্তা কিংবা ব্লাউজ়ের নীচে যে অন্তর্বাস পরেন মহিলারা, তা দু’-এক বারের ব্যবহারে নোংরা হয় না সাধারণত। ফলে রাতে এসে যে অন্তর্বাস খুলে রাথলেন তা অনেকেই পরের দিন বা এক দিন অন্তর পোশাকের নীচে গলিয়ে নেন।
হতেই পারে ওই অন্তর্বাসের ফিটিং আপনার পোশাকের নীচে খুব ভাল ভাবে হয় বলে আপনি আবার ওটি বেছে নিচ্ছেন। হতে পারে আপনার কাচার সময় হয়নি। আবার এ-ও হতে পারে যে, আপনার মনে হয়নি অন্তর্বাসটি এক দিন পরেই কেচে ফেলা উচিত। কারণ যা-ই হোক, না কাচা অন্তর্বাস আরও এক বার পরলে তার কোনও ক্ষতিকর প্রভাব শরীরে পড়তে পারে বলে মনে হয়নি।
এক ত্বকের চিকিৎসক মুনীব শাহ যদিও জানাচ্ছেন, প্রভাব পড়তে পারে। আর তা-ই উর্ধ্বাঙ্গের অন্তর্বাস দৃশ্যত নোংরা না দেখালেও তা নির্দিষ্ট সময় অন্তর কেচে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা ওই ত্বকের চিকিৎসক হাডসন ডার্মাটোলজি অ্যান্ড লোজ়ার সার্জারির সঙ্গে যুক্ত। নিয়মিত সমাজমাধ্যমে ত্বক সংক্রান্ত নানা রকমের পরামর্শও দেন তিনি। মুনীব বলছেন, ‘‘মহিলাদের প্রতি দিনই পরিষ্কার ব্রা বা আন্তর্বাস পরার পরামর্শ দেব আমি। বিশেষ করে যাঁরা অতিরিক্ত ঘামেন, যাঁদের ব্রা সুতির বদলে কোনও সিন্থেটিক তন্তু দিয়ে তৈরি, তাঁদের অবশ্যই নিয়মিত ব্রা পরার পরে তা সাবান জলে কেচে শুকিয়ে নিয়ে তার পরে পরা উচিত।’’
কতবার পরার পরে না কাচলেই নয়?
১। ভারতে যেখানে বছরের অধিকাংশ সময়েই গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়া থাকে সেখানে অন্তর্বাস পরা অবস্থায় ঘাম হওয়াই স্বাভাবিক। মুনীব জানাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে ঘাম থেকে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। ব্রণ, ফুস্কুড়ি এমনকি র্যাশও হতে পারে। যা অকারণ অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই গরম কালে সারা দিন একটি ব্রা পরার পরে তা পরিষ্কার করে নেওয়াই ভাল।
২। যাঁরা স্পোর্টস ব্রা পরে শরীরচর্চা করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসক। তিনি বলছেন, ‘‘শরীরচর্চা করার পরে সেই ব্রা বদলে ফেলা উচিত। কারণ শরীরচর্চা করার সময় ঘাম বেশি হয়। সেই ব্রা সারা দিন পরে থাকলে ত্বকে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়বে।
৩। যাঁরা কম ঘামেন, তাঁরা শীত কালে খুব বেশি হলে একটি কেচে পরিষ্কার করা ব্রা ২-৩ বার পরতে পারেন। কিন্তু তার বেশি না পরারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক।