রাতে শুলেই হাজার চিন্তা ঘিরে ধরে। কাজের চাপ, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তাও হয়। অতিরিক্ত উদ্বেগে ঘুমই আসতে চায় না। যদিও বা দু’চোখের পাতা কখনও এক হল, কিছু সময় পরেই ঘুমটা ভেঙে যায়। দিনভর পরিশ্রমে শরীর পরিশ্রান্ত, কিন্তু ঘুম নেই দু’চোখে। এমন সমস্যা এখন অনেকেরই। শত চেষ্টাতেও অবাধ্য চোখকে ঘুম পাড়ানো যাচ্ছে না।
কমবয়সিরা ঘুম ভেঙে গেলে মোবাইল-ল্যাপটপ খুলে বসে পড়েন। প্রৌঢ়-বৃদ্ধেরাও যে আজকাল সেই পন্থা অনুসরণ করছেন, সেটা বলাই বাহুল্য। মোবাইলের নীল আলোয় আরওই ঘুমের একেবারে দফারফা। অনেকে আবার চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করে ঘুমের ওষুধ ঘরে মজুত করে রাখেন। এই ওষুধপত্রেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক। তা হলে কী করণীয়? কী ভাবে শোয়া মাত্রই ঘুম আসবে?
অনিদ্রা দূর করার সহজ কিছু উপায়
একটি ছোট্ট ব্যায়ামে ঘুম আসবে ঘুম তাড়াতাড়ি। একে বলা হয় ‘৪-৭-৮ ট্রিক’। এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের একটি বিশেষ ব্যায়াম। চার সেকেন্ড ধরে শ্বাস নিতে হবে, পরের সাত সেকেন্ড সেই শ্বাস ধরে রাখতে হবে এবং শেষ আট সেকেন্ড সেই ধরে রাখা শ্বাসই মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে বার করে দিতে হবে। এই গোটা প্রক্রিয়া করে যেতে হবে ৬০ সেকেন্ড ধরে।
আরও পড়ুন:
ঘুমের তিন ঘণ্টা আগে মদ্যপান, ভারী খাবার খাওয়া, মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন।
রাতে শুতে যাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক আগে থেকে মোবাইল দেখা বন্ধ করুন। অনিদ্রার সমস্যা যদি থাকে, তা হলে শোয়ার আগে টিভি দেখা, ল্যাপটপে কাজ করা আগে থেকেই বন্ধ করতে হবে।
রাতের খাওয়া আর ঘুমের মধ্যে অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টার বিরতি থাকতে হবে। এই সময় হাঁটাহাঁটি করলে খাবার হজম হয় দ্রুত। পাকস্থলী শান্ত থাকে, অম্বলের বাড়বাড়ন্ত হয় না। ঘুমও আসে তাড়াতাড়ি।
একটি আসন অভ্যাসেও ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি। আসনটির নাম পশ্চিমোত্তাসন। প্রথমে দুই পা টানটান করে সোজা হয়ে বসুন। শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত মাথার উপরে তুলুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমর থেকে সামনের দিকে বেশ খানিকটা ঝুঁকে মুখ হাঁটুতে স্পর্শ করুন। আসন করার সময় পেট ভিতরের দিকে হালকা টেনে রাখুন। আগের অবস্থায় ফেরার সময় শ্বাস নিতে নিতে হাত ওঠান এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত নামিয়ে নিন। দিনে তিন থেকে পাঁচ বার এটি করুন।