শুকনো কাশির ঘরোয়া দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
ঠান্ডা লেগে কাশি-সর্দির সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। সর্দিজ্বর কমে গেলেও নাছোড় প্রেমিকের মতো কাশি কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। কাশি কমানোর সমস্ত চেষ্টাই বিফলে চলে যাচ্ছে। কাশির সিরাপ থেকে বাসক পাতা ফোটানো জল— কাশির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভূরি ভূরি অস্ত্র প্রয়োগ করলেও কিছুতেই পরাস্ত করা যাচ্ছে না। কাশির সঙ্গে কফ উঠছে না। খুসখুসে শুকনো কাশি সারা ক্ষণই হয়ে চলেছে। গুরুগম্ভীর মিটিংয়ে যদি একটানা কাশতে থাকেন, তা হলে নিজেরও অস্বস্তি হতে থাকে। তাই শুকনো কাশি কমানোর চেষ্টা করুন একটু অন্য ভাবে।
গরম জল
কাশি না কমা পর্যন্ত ঈষদুষ্ণ জল খান। ঠান্ডা জল গলায় গিয়ে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। উষ্ণ জল খেলে গলা পরিষ্কার হবে। গলায় আরাম পাবেন। কাশিও কমবে দ্রুত।
মধু
প্রতি দিন এক চামচ করে মধু খেয়ে দেখতে পারেন। কাশির ঘরোয়া টোটকা হিসাবে মধুর বেশ নামডাক রয়েছে। গলার সংক্রমণ হলে মধু তা সারিয়ে দেবে। মধুতে যেহেতু অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে, ফলে ভাইরাল সংক্রমণ হলেও তা কমে যাবে।
পুদিনা পাতা
পুদিনায় রয়েছে মেন্থল। গলায় কোনও অস্বস্তি হলে মেন্থলের গুণে তা কমে যেতে পারে। শুকনো কাশির ঘরোয়া ওষুধ হিসাবে পুদিনা সত্যিই ভরসাযোগ্য। গরম জলে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে কিছু ক্ষণ ঢেকে রাখুন। মিনিট দশেক পরে সেই জলটি খেয়ে নিন। উপকার পাবেন।
নুন-জলে গার্গল
গলাব্যথা হলে গার্গল করলে কমে যায়। শুকনো কাশির ক্ষেত্রেও এই দাওয়াই কাজে আসতে পারে। এক কাপ গরম জলে কিছুটা নুন মিশিয়ে দুবেলা গার্গল করতে পারেন। উপকার পাবেন।
ভাপ নেওয়া
ভাপ নিলেও শুকনো কাশি কমতে পারে। গরম জল করে ভাপ নিতে পারেন। গলাব্যথা, সর্দি-কাশিতে ভাপ নেওয়ার এই দাওয়াই বেশ স্বস্তিদায়ক। নিয়ম করে পর পর কিছু দিন করলে সুস্থ হয়ে ওঠা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy