সব ঋতুতেই উপকারী, তবে গ্রীষ্মে টক দই অপরিহার্য বললে অত্যুক্তি হয় না। ওজন কমানো, ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নতি, বদহজম থেকে মুক্তি, ঘরে পাতা দইয়ের উপকারিতার তালিকা বেশ দীর্ঘ। গ্রীষ্মে ঘরে দই পাতা সমস্যাজনকও নয়। এই ঋতুতে তাপমাত্রা থাকে দই পাতার উপযোগী। কিন্তু তার পরও উপরে জল কেটে যায় কেন? এক নয়, একাধিক গৃহস্থ বাড়িতে এই অভিযোগ শোনা যায়। দই জমাট বাঁধে না বলে বাড়িতে ছোটদের খাওয়ানো যায় না। তা হলে উপায় কী? বাতলে দিলেন করিনা কপূর, আলিয়া ভট্ট, বরুণ ধওয়ানের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর। চামচ দিয়ে পরীক্ষা বা ‘স্পুন টেস্ট’-এর কৌশল প্রয়োগ করার কথা বললেন তিনি।

দই পাতার পর চামচ দিয়ে পরীক্ষা বা ‘স্পুন টেস্ট’-এর কৌশল প্রয়োগ করুন। ছবি: সংগৃহীত।
ঘরে জমাট দই পাতার নিয়ম
১. পূর্ণ ফ্যাটযুক্ত দুধ কিনতে হবে। মোষের দুধ হলে ভাল হয়। কারণ, ঘন দই পাতার জন্য মোষের দুধ উপযুক্ত।
২. দুধ গরম করার সময়ে একটি ছোট বাটিতে খানিকটা ঢেলে রেখে দিন।
৩. জাল দিয়ে ঢাকা দিয়ে ঠান্ডা হতে দিন।
৪. হালকা গরম থাকতে থাকতে আগে ঘরে পাতা দইয়ের থেকে অল্প সাজ নিয়ে দুধে ফেলে দিন।
৫. রুজুতার দাবি, এ বার ৩২ বার নাড়াতে হবে দুধটা।
৬. দুধ থিতিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৭. নরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। রুজুতা নিজে কখনও ধাতব ঢাকনা ব্যবহার করেন না।
৮. ঘরের অন্ধকার ও ঠান্ডা জায়গায় রেখে দিতে হবে। সাধারণত রাতে দই পাতা হয়।
৯. ৮-১২ ঘণ্টা পর বা পর দিন সকালে উঠেই আগে দইটিকে ফ্রিজে রেখে দিন।
১০. এ বার একটি চামচ দিয়ে পরীক্ষা করলেই বুঝতে পারবেন, সঠিক ভাবে দই জমাট বেঁধেছে কি না। যদি এক চামচ দই তুলে নিতেই দই ভেঙে জল বেরিয়ে যায়, তা হলে পরের বার আরও ভাল করে দই পাততে হবে।