শীর্ষাসনের মতো কঠিন নয়। যোগাসন যাঁরা শুরু করছেন, তাঁরা এই আসন অভ্যাস করতে পারেন। যোগাসন প্রশিক্ষকেরা বলেন, উত্তান শিশোসনের আসল অর্থ হল ‘ইনটেন্স বেবি পোজ়’। শিশুর মতো হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিতে বসে আসনটি অভ্যাস করতে হয়। আবার এর ভঙ্গিমা এমন যে দেখলে মনে হয় ছোট্ট কুকুরছানা আড়মোড়া ভাঙছে। আসলে এই যোগাসন হল এক ধরনের ব্যায়াম, যা হাত ও কাঁধের পেশিকে স্ট্রেচ করে। এতে কাঁধ ও হাতের ব্যথাবেদনা যেমন কমে, তেমনই পেশি অনেক শক্তপোক্ত হয়। স্পন্ডিলাইটিস বা ফ্রোজ়েন শোল্ডারের সমস্যা থাকলে, এই আসনটি অভ্যাসে কষ্ট অনেক কমতে পারে।
কী ভাবে করবেন উত্তান শিশোসন?
১) ম্যাটের উপর হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিতে বসুন। পিঠ টানটান থাকবে।
২) এর পর ওই ভঙ্গিতেই দুই হাত সামনের দিকে প্রসারিত করে দিন। এতে শরীর সামনের দিকে ঝুঁকে আসবে।
৩) হাত টানটান রেখে মাথা মাটিতে ঠেকাতে হবে। তবে পেট ও পিঠ টানটান থাকবে।
৪) আসনের ভঙ্গি এমন হবে যাতে কাঁধ ও হাতের পেশিতে টানটান থাকে এবং তলপেটেও টান পড়ে।
৫) শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ৩০ সেকেন্ড ওই ভঙ্গিতে থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যান। এই ভাবে তিন থেকে পাঁচ সেট করে আসনটি করতে হবে।
উপকারিতা কী কী?
১) কাঁধ ও হাতের পেশির স্ট্রেচিং হবে, এতে হাত, পিঠ, কাঁধের যন্ত্রণা কমবে।
২) দীর্ঘ সময় ধরে যাঁরা স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা আসনটি করলে উপকার পেতে পারেন।
৩) ফ্রোজ়েন শোল্ডারের সমস্যা থাকলে এবং ঘাড় ও কাঁধের পেশি শক্ত হয়ে গেলে এই আসনটি কাজে আসবে।
৪) একটানা বসে কাজে পিঠের ব্যথায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্য খুবই উপকারী এই আসন।
৫) তলপেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করবে এই আসন।
সতর্কতা
হার্নিয়ার সমস্যা থাকলে আসনটি করবেন না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া আসনটি অভ্যাস করা উচিত হবে না।
ভার্টিগোর সমস্যা থাকলে আসনটি না করাই ভাল।