পুজো মানেই বাধাহীন খাওয়াদাওয়া। নিয়মকানুন, ডায়েট ইত্যাদি সব পিছনের সারিতে জায়গা পায়। পরিমিতিবোধ তখন গুরুত্ব পায় না। কিন্তু সারা বছরই কি অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস? কখনও কখনও খিদে না পেলেও মুখ চলতে থাকে? অবসাদ বা মানসিক চাপের কারণে পেট ভরা থাকলেও খেতে থাকেন অনেকে। এক বার শুরু হলে নিজেকে থামানো খানিক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এ ভাবেই তৈরি হয় অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা। কিন্তু অল্প কিছু অভ্যাস বদলেই এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসা যায়।
যাপনে কী কী বদল আনলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ হতে পারে?
১. মনোযোগী হয়ে খাবার খাওয়া শিখতে হবে। খাওয়ার আগে এক মুহূর্ত থেমে ভেবে নিতে হবে। নিজের শরীরকে প্রশ্ন করতে হবে— সত্যিই কি খিদে পেয়েছে, না কি কেবল বিরক্তি বা মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া? প্রতি বারই যদি এমনটা করা অভ্যাস করা যায়, তা হলে অপ্রয়োজনীয় খাওয়া অনেকখানি কমে যেতে পারে।
অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
২. খাওয়ার আগে এক গ্লাস জল খেয়ে নিতে পারেন। শরীর অনেক সময় খিদে আর তৃষ্ণার পার্থক্য বুঝতে পারে না। ফলে খিদে পেয়েছে ভেবে খেতে শুরু করে। খাওয়ার আগে জল খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কমে।
৩. ছোট থালা ব্যবহার করা শুরু করুন। মন আদপে চোখকে বিশ্বাস করে। ছোট থালায় খাবার রাখলে মনে হয় পরিমাণে বেশি, অথচ বাস্তবে তা নয়। এতে ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ হয় সহজেই।
আরও পড়ুন:
৪. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হলে মানসিক চাপ কমবে। ঘুম কম হলে চাপ বাড়বে। আর তাতে শরীরে কর্টিসল, অর্থাৎ স্ট্রেস হরমোন বাড়তে থাকবে, যা খিদে বাড়ায়। নিয়মিত ঘুম, যোগাসন বা ধ্যান অভ্যাস করলে এই প্রবণতা কমে যায়।
৫. চোখের সামনে থেকে জাঙ্ক ফুড সরিয়ে ফেলতে হবে। কাজের টেবিলে বা বিছানার পাশে বিস্কুট, চিপ্স বা মিষ্টি রাখলে হাত নিশপিশ করতে পারে। মুখ চালানোর ইচ্ছে জাগতে পারে। তাই জাঙ্ক ফুডের বদলে বরং ফল, দই বা বাদাম রাখতে পারেন, যা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখবে আপনাকে।