অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা, দুই-ই আছে। ছবি: সংগৃহীত।
গরমকালে ঘাম হবেই। তবে, কারও কম, কারও হয়তো বেশি। আবার, এমন অনেকেই আছেন যাঁদের মুখ শরীরের তুলনায় বেশি ঘামে। বেশি ঘাম হয় বলে অনেকেই এই সময়ে মুখে কিছু মাখতে চান না। অনেকে আবার মেকআপ করার আগে মুখে বরফ ঘষেন, টোনার মাখেন। মেকআপ করার পর তা স্থায়ী করার জন্য ফিক্সারও ব্যবহার করেন। তা সত্ত্বেও ঘামের ধারা আটকানো যায় না। তবে, ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘাম একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা, দুই-ই আছে। শরীর খুব গরম হয়ে গেলে স্বেদগ্রন্থি থেকে যে তরল নির্গত হয়, তা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া শরীরে জমা টক্সিনও ঘামের মাধ্যমেই বেরিয়ে যায়। তবে, আবহাওয়া ছাড়াও মুখে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে।
১) জিনগত সমস্যা:
মুখে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া জিনগত কারণে হতে পারে। শুধু মুখে নয়, অনেকেরই হাতের তালু বা পায়ের তলায় ঘাম হয়। পরিবারে কারও কিংবা পূর্বপুরুষদের এমন সমস্যা থাকলে তা পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়।
২) হরমোনের হেরফের:
ঋতুস্রাব শুরু, সন্তানধারণ এবং রজোনিবৃত্তির সময়ে মেয়েদের শরীরে হরমোনের মারাত্মক হেরফের হয়। সেই কারণেও ঘামের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
৩) মানসিক চাপ, উদ্বেগ:
ঘামের সঙ্গে শারীরিক কিছু বিষয় যেমন জড়িত, তেমনই রয়েছে মানসিক কিছু কারণও। উদ্বেগ, অবসাদ এবং মানসিক চাপ বাড়তে থাকলেও মুখে ঘাম হয়।
অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তির উপায় কী?
১) ঘাম আটকানোর জন্য ‘অ্যান্টিপার্সপির্যান্ট’ স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। তবে, কেনার আগে দেখে নেবেন, সেগুলি মুখের জন্য নিরাপদ কি না।
২) ঘাম হলেই অয়েল-ফ্রি ফেশিয়াল ওয়াইপ্স দিয়ে মুখ মুছে নিতে পারেন।
৩) মানসিক চাপ, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ভাল হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy