স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার। ভাল চাকরি। অর্থাভাব নেই। বছরে এক থেকে দু’বার বেড়াতে যাওয়া। সমাজমাধ্যম জুড়ে সুখী জীবনের ছবি। বাইরে থেকে দেখে যে মানুষকে ভীষণ সুখী মনে হয়, তাঁরা অনেকেই হয় দিনের শেষে পাহাড়প্রমাণ ক্ষত নিয়ে একলা মনের সামনে দাঁড়ান। কখনও কি মনের গভীরে ডুব দিয়েছেন? সকলের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রখছেন। কিন্তু নিজের শরীরের ইঙ্গিত বুঝেছেন? তা হলে বুঝতেন, শরীর এবং মন কোন সঙ্কেত দিচ্ছে।
১। সামান্য কথাতেই রাগ হয়ে যায়, মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। পরমুহূর্তে হয়তো মনে হয়, এতটা বিরক্ত না হওয়াই উচিত ছিল। কিন্তু সেই মুহূর্তে নিজেকে সংবরণ করতে পারেন না। মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও কাজ করার সঙ্কেতও হতে পারে এই অকারণ বিরক্তি। আবার এটাও হতে পারে যে, শরীর এবং মন বিশ্রাম চায়।
২। ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্তি কাটে না? এক দিন নয়, এটাই যদি নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, বুঝতে হবে, শরীর বিশ্রাম চায়। ক্লান্তির একাধিক কারণ থাকতে পারে। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলেও এমন হয়। দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে দিন কয়েকের বিরতি, ঘুম, বিশ্রাম নিয়ে দেখুন, পরিস্থতির বদল হচ্ছে কি না।
৩। কোনও কাজই ঠিক হচ্ছে না? ল্যাপটপে তাকিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছেন? একই কাজ করতে গিয়ে বার বার ভুল করছেন? মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়লে শরীর এমন সঙ্কেত দিতে পারে। কোনও চিন্তায় ডুবে গেলেও এমনটা হয়। নিজেকে প্রশ্ন করা দরকার, সমস্যা ঠিক কোথায়?
৪। আচমকাই খিদে উধাও। কিছু খেলেই অম্বল হচ্ছে। আবার দিনরাত খাই খাই করছেন? দুই সঙ্কেতই কিন্তু স্বাভাবিক নয়। অবসাদ, উদ্বেগ থেকে এমন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এক-দু’দিন এমন কিছু হলে আলাদা। তবে যদি লম্বা সময় ধরে এমনটাই হয়, তা হলে শরীর এবং মনের খেয়াল রাখা দরকার।
৫। কারও সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছা করছে না। বন্ধুবান্ধব আড্ডা দিতে চাইলেও এড়িয়ে যাচ্ছেন? সমাজমাধ্যম থেকে আড়াল করতে চাইছেন নিজেকে? এমন সব সঙ্কেত নীরবে ইঙ্গিত দেয়, মনের যত্ন জরুরি। মানসিক ভাবে কোথাও কোনও সমস্যা হয়েছে। দরকারে মনোবিদের পরামর্শ নিতে পারেন।