‘‘শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সরস্বতীর প্রসাদ বলা হয় বেসনকে,’’ অজানা তথ্য দিলেন ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী সুখবিন্দর সিংহ। তাঁর দাবি, বেসন ধুলো শোষণ করতে পারে। আর তাই গলায় জমে থাকা সমস্ত অবাঞ্ছিত পদার্থকে শুষে নিয়ে বার করে দিতে পারে। ফলে গলা সাফ হয়ে যায়। গলায় সংক্রমণ হলে বেসনই কাজে আসে। গায়ক বলছেন, গলার সমস্যা হলে বেসনের লাড্ডু খেয়ে নিলে উপকার মেলে। আর তাই সঙ্গীতশিল্পীদের কাছে হেঁশেলের এই উপাদান সরস্বতীর প্রসাদের তুল্য।
সত্যিই কি গলার সংক্রমণ দূর করতে বা গলা সাফ করতে বেসন কার্যকরী?
বেসন আসলে প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি উপাদান। মূলত শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ায় পুষ্টিকর গুণাবলি এবং উষ্ণ বৈশিষ্ট্যের জন্য বেসন খাওয়া হয়। কেউ ঘি দিয়ে লাড্ডু বানিয়ে বা রুটি বানিয়ে খান। এতে গলার অস্বস্তি কমে যেতে পারে। যদি গলার উপর দীর্ঘ ক্ষণ চাপ পড়ে, সে ক্ষেত্রে বেসন উপকারে আসতে পারে। কিন্তু অনেকের বেসনে হজমের সমস্যা হয়। বেসনের লাড্ডুতে যদি অতিরিক্ত, ঘি, চিনি থাকলে তা বিপাকক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। যদি অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা প্রদাহের কারণে গলায় সমস্যা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে বেসন কোনও ভাবেই প্রতিকার করে না। তেমন ক্ষেত্রে বেসন-ভিত্তিক কোন খাবার খেলেই উপকার মিলবে না।
গলা ভাল রাখতে বেসনের লাড্ডু খাওয়ার পরামর্শ সঙ্গীতশিল্পীর। ছবি: সংগৃহীত।
হজমের সমস্যা না থাকলে বেসন উপকারে আসতে পারে। তা-ও যদি বেসন দিয়ে বানানো খাবারটি গরম গরম খাওয়া যায়, তবেই কেবল মাত্র উপকার মিলবে। আগেকার দিনে দিদিমা-ঠাকুরমায়েরা বেসনের শিরা বানিয়ে দিতেন কাশি, ঠান্ডা লাগা কমানোর জন্য। দুধে মেশানো হত বেসন, ঘি, হলুদ, গোলমরিচ এবং এলাচের গুঁড়ো। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা গলার সংক্রমণ কমানোর জন্য কার্যকরী আদপে হলুদ, গোলমরিচ, এলাচের গুণে। দুধ আর বেসন শিরা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে কাজ করে।