ঋতুবদলের সময়ে অনেকেরই নাক বন্ধের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে রাতে শুয়ে পড়ার পর শ্বাস নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। সে সময়ে নাকের স্প্রে বা ড্রপ ব্যবহার করা ছাড়া গতি থাকে না। তা ছাড়া অ্যালার্জি বা হাঁচি-কাশির সমস্যায় ভুগলেও অনেকে স্প্রে ব্যবহার করেন। সাধারণত নাকের ভিতরে স্প্রে করে মাথা পিছন দিকে হেলিয়ে রাখা হয়। তাতে ড্রপের তরল নাকের পথে সহজে যাতায়াত করতে পারে বলে ধারণা অনেকের। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এমন ভাবেই স্প্রে নিতে দেখা যায়। কিন্তু ভ্রান্ত ধারণা ভাঙলেন ইএনটি সার্জেন প্রিয়ঙ্কা গর্গ।
গর্গ জানাচ্ছেন, এই পদ্ধতিটি আসলে ভুল। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো করে চিকিৎসক দেখিয়েছেন, সঠিক ভঙ্গি মানলে স্প্রে ঠিক জায়গায় পৌঁছোয় এবং ওষুধের কার্যকারিতাও বাড়ে। নয়তো নাকের স্প্রে গলায় পৌঁছে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক সময়ে মুখে যে তিক্ত স্বাদ পাওয়া যায়, তার প্রধান কারণ হল, ভুল পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।
সঠিক নিয়ম কী?
স্প্রে ব্যবহারের সঠিক নিয়ম শেখাচ্ছেন চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কা। প্রথমেই স্প্রের বোতল হালকা ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। মাথা একেবারেই পিছনে হেলানো যাবে না, বরং সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকিয়ে রাখা উচিত। মাথা পিছনে নিলেই স্প্রে গলার দিকে সরে যায়, ফলে নাকের পথ পরিষ্কারের কাজ সম্পন্ন হয় না।
এর পর স্প্রে-র নলকে নাকের ভিতর সোজা না ধরে হালকা বেঁকিয়ে ধরুন। তির্যক ভাবে নলটি ধরার ফলে ওষুধ নাকের ভিতরে সঠিক অংশে পৌঁছে যায়। চিকিৎসকের কথায়, স্প্রে করার সময় ‘ক্রস-হ্যান্ড পদ্ধতি’ সবচেয়ে কার্যকরী। অর্থাৎ ডান নাকে স্প্রে করতে বাঁ হাত, এবং বাঁ নাকে স্প্রে করতে ডান হাত ব্যবহার করুন। এতে নলকে বাইরের দিক থেকে সঠিক কোণে ধরার কাজটি সহজ হয়ে ওঠে।
স্প্রে করার পর গভীর নিঃশ্বাস নিয়ে ফেলেন অনেকেই। এই ধাপটিকেও ভুল বলে চিহ্নিত করলেন চিকিৎসক। খুব জোরে শ্বাস টানলে স্প্রে সোজা গলায় নেমে যেতে পারে। তাই স্প্রে করার পর স্বাভাবিক নিয়মে এবং বিরতিতেই নিঃশ্বাস নিতে হবে। নাকের স্প্রে ঠিক ভাবে ব্যবহার করলে ওষুধ নাকের ভিতরেই কাজ করবে, গলায় নেমে গিয়ে অস্বস্তি বা জ্বালা তৈরি করবে না।