Advertisement
১০ মে ২০২৪

Mental Health: আলিঙ্গনেই স্বস্তি! তবে পুরুষ না কি মহিলা, কারা বেশি উপকৃত হন? কী বলছে সমীক্ষা

কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপে ভোগেন কমবেশি সকলেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খুঁজছেন সবাই। আলিঙ্গনেই কী মিলতে পারে সুফল?

বন্ধু হোক বা প্রিয়জন, পরস্পরের প্রতি স্নেহ ও ভালবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হল আলিঙ্গন।

বন্ধু হোক বা প্রিয়জন, পরস্পরের প্রতি স্নেহ ও ভালবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হল আলিঙ্গন। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২২ ১০:৪৫
Share: Save:

ঘরের কাজ, অফিসের কাজ ঠিক সময় মতো করতে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়াই হচ্ছে না। রাতে ঘুমও হচ্ছে না। ফলে পরের দিন সকালে এক রাশ ক্লান্তি। কাজে ভুল হওয়া। কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপে ভোগেন কমবেশি সকলেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খুঁজছেন সবাই।

বন্ধু হোক বা প্রিয়জন, পরস্পরের প্রতি স্নেহ ও ভালবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হল আলিঙ্গন। হালের সমীক্ষা বলছে, এই আলিঙ্গন শুধুমাত্র আবেগ প্রকাশের মাধ্যমই নয়। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নানা ভাবে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, মানসিক চাপ কমাতেও নাকি আলিঙ্গনের জুড়ি মেলা ভার! তবে জার্মান গবেষকদের মতে আলিঙ্গন করলে কেবল মহিলাদের মানসিক চাপ কমে, এ ক্ষেত্রে পুরুষদের তেমন লাভ হয় না।
৭৬টি দম্পতিকে নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণার ফলাফল ‘প্লস ওয়ান’ জার্নালে প্রকাশিত হয়। যেখানে দেখা যায় প্রবল মানসিক চাপ তৈরি হওয়ার পর যদি দম্পতিরা নিজেদের সঙ্গীকে আলিঙ্গন করেন, তা হলে মহিলারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হন। তাঁদের মানসিক চাপ অনেকটাই কমে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই পন্থা ততটা কাজের নয়, এমনটাই মনে করছেন জার্মান গবেষকের দল।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

গবেষণায় বলা হয়েছে, সঙ্গীর সঙ্গে আলিঙ্গনবদ্ধ অবস্থায় মহিলাদের শরীরে অধিক মাত্রায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয় এবং কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। যার ফলে মস্তিষ্ক শান্ত থাকে। সমীক্ষা বলছে, ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করলে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। গবেষকদের মতে, কেবল আলিঙ্গন করলে পুরুষদের শরীরে অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে না। সে কারণেই তাঁরা মানসিক চাপমুক্ত হন না।

পূর্বের কয়েকটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল যে, আলিঙ্গন করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, রক্তচাপ কমে এবং শারীরিক নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে জার্মান গবেষকরা এই তথ্য মানতে নারাজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE