Advertisement
E-Paper

ঝক্কি এড়াতে দোকানের আদা-রসুন বাটা দিয়ে রান্না করেন? কারখানায় বানানো পেস্টে কী থাকে জানেন?

অনেকেই ঝক্কি এড়াতে দোকান থেকে বা অনলাইনে কিনে আনেন ‘জিন্‌জার-গার্লিক পেস্ট’। যেখানে সব তৈরি থাকে। অবশ্যই স্বাদে হেরফের হয়, কিন্তু সময় এবং খাটনি বাঁচাতে স্বাদের সঙ্গে আপস করে নেন অনেকে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ১৬:৩১
কারখানায় বানানো বাটার মধ্যে ক্ষতিকারক উপাদান থাকে।

কারখানায় বানানো বাটার মধ্যে ক্ষতিকারক উপাদান থাকে। ছবি: এআই।

ভারতীয় রন্ধনপ্রণালীতে আদা-রসুন বাটার গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা বলা বাহুল্য। আমিষ পদ রান্নায় এই দুই মশলার মিশ্রণ স্বাদবৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়। এ দিকে আদা আর রসুন ছুলে বাটা খানিক কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ। তাই অনেকেই ঝক্কি এড়াতে দোকান থেকে বা অনলাইনে কিনে আনেন ‘জিন্‌জার-গার্লিক পেস্ট’। যেখানে সবটাই তৈরি থাকে। অবশ্যই স্বাদে হেরফের হয় বটে, কিন্তু সময় এবং খাটনি বাঁচাতে স্বাদের সঙ্গে আপস করে নেন অনেকে। বিশেষ করে যাঁরা পরিবারের সঙ্গে থাকেন না, কর্মসূত্রে বাড়ি থেকে দূরে থাকতে হয়, তাঁদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

কিন্তু সাম্প্রতিক একটি ঘটনার পর সতর্ক হওয়া দরকার বলে মনে করছেন অনেকে। হায়দরাবাদ শহরে ৮৭০ কিলোগ্রামেরও বেশি ভেজাল আদা-রসুন বাটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কারখানায় বানানো সেই বাটাগুলির মধ্যে এমন কিছু উপাদান পাওয়া গিয়েছে যা মানবশরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক।

কিছু পেস্টে পচা আদা এবং রসুন ব্যবহার করা হয়।

কিছু পেস্টে পচা আদা এবং রসুন ব্যবহার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত।

কারখানায় বানানো যে কোনও বাটার মধ্যে ৫টি ক্ষতিকারক উপাদান থাকে সাধারণত

টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড: বাটার রং যাতে উজ্জ্বল থাকে অনেক ক্ষণ, সে জন্য টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড ব্যবহৃত হয়। এই রাসায়নিকটি সাধারণত রং এবং প্লাস্টিকে পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটি ডিএনএ-র ক্ষতি করতে পারে, অন্ত্রের ভাল ব্যাক্টেরিয়ার অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে, অন্ত্রের আস্তরণের ক্ষতি করতে পারে।

সাইট্রিক অ্যাসিড বা মোনো সাইট্রেট: সুগন্ধ এবং সংরক্ষণের জন্য আদা-রসুনের মিশ্রণে যোগ করা হয় বটে, কিন্তু এতে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কৃত্রিম খাদ্যরঞ্জক: দীর্ঘমেয়াদি উজ্জ্বল রং আনতে খাবারের কৃত্রিম রং মেশানো হয়। এটি স্বাস্থ্যের নানাবিধ ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

জ্যান্থান গাম: পেস্ট যাতে ঘন দেখায়, সে কারণে মেশানো হয়। এই উপাদানটি প্রায়শই প্রক্রিয়াজাত খাবারে পাওয়া যায়।

নিম্নমানের বা পচে যাওয়া উপাদান: কিছু পেস্টে পচা আদা এবং রসুন ব্যবহার করা হয়। পরিমাণ বাড়ানোর জন্য চালের গুঁড়ো বা মুসুর ডালের গুঁড়ো, চকের গুঁড়োও মেশানো হয়।

ভেজাল পেস্ট কী ভাবে শনাক্ত করবেন?

রং: প্রাকৃতিক উপায়ে বানানো আদা-রসুন বাটার রং হালকা বেজ বা ফ্যাকাশে হলুদ হবে। খুব সাদা বা চকচকে হলে বুঝবেন, তাতে রাসায়নিক মেশানো আছে।

গন্ধ: আদা এবং রসুনের তীব্র গন্ধ পেলে বুঝবেন খাঁটি বাটা। কিন্তু টক টক বা রাসায়নিক গন্ধ থাকলে স্পষ্ট যে, প্রিজ়ারভেটিভ দেওয়া রয়েছে।

টেক্সচার: পেস্টটি মসৃণ হওয়া উচিত। কিন্তু যদি দেখেন কিছু দিন পর থেকে জল ছেড়ে ছেড়ে যাচ্ছে, তা হলে এটি ভেজাল হতে পারে।

Ginger Garlic Paste Health Tips Fake Healthy Foods Healthy Lifestyle Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy