প্রখর তাপে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। গরমের সঙ্গে দোসর হয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। বাইরে বেরোলে রোজই কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে সকালে হাঁটতে যাওয়া এক রকম বন্ধ। তাই শরীরচর্চার প্রধান একটি অঙ্গ হয়ে উঠেছে ট্রেডমিল। ঘরে এসি চালিয়ে এই যন্ত্রের উপর হাঁটা অনেক বেশি সুবিধাজনক। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হচ্ছে কি?
আরও পড়ুন:
পায়ে ভাল জুতো পরে সবুজ ঘাসের উপর হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু সময়ের অভাবেই হোক বা আবহাওয়ার কারণে, এই রোদে বাইরে বেরিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে পারছেন না অনেকেই। অগত্যা ট্রেডমিলই ভরসা। সূর্য মধ্যগগনে পৌঁছনোর আগে যদি হাঁটার পর্ব শেষ করে ফেলা যায়, তা হলে ভাল। কিন্তু যদি তা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে যন্ত্রের উপর হাঁটা যেতে পারে। মাঠের খানাখন্দ কিংবা উঁচু-নিচু রাস্তায় হাঁটলে পা বা কোমরের সমস্যা হতে পারে। বদলে ট্রেডমিলের সমতল পাটাতনে হাঁটলে পা, হাঁটু কিংবা কোমরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আবার, রোদ চড়া হওয়ার আগে যদি বাইরে খোলা হাওয়ায় হাঁটতে পারেন, তা হলে যে মানসিক আরাম পাওয়া যায়, তা চার দেওয়ালের মধ্যে রাখা যন্ত্রের উপর হাঁটলে পাওয়া সম্ভব নয়। তা ছাড়া শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখা দরকার। গায়ে রোদ না লাগলে শরীরে সেই উপাদানের অভাব হবে। হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে হলে শরীরচর্চার পাশাপাশি শরীরে এই উপাদানটি যথেষ্ট পরিমাণে থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:
প্রশিক্ষকেরা বলছেন, যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের বাইরে বা ঘরে— কোথাও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। তবে, যাঁরা সেই ভাবে শারীরিক কসরত করেন না বা শরীরে কোনও রকম সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই গরমে ট্রেডমিলে বা বাইরে হাঁটা— দু’টিই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।