পুজোয় শাড়ি বা পছন্দের পোশাকের সঙ্গে নানা ধরনের গয়না পরেছেন। এর পরেই হাতে, গলায় র্যাশ বেরিয়েছে। গরমে ঘামে দীর্ঘ সময়ে হাতে চুড়ি বা ঘড়ি পরে থাকলে, তা থেকেও জ্বালা-চুলকানি হয় অনেকের। বিশেষ করে অক্সিডাইজ়ড গয়না পরলে তা থেকে র্যাশ, ফোস্কা পরে ত্বকে। অনেকের আবার ঝুটো গয়না পরলেই ত্বকে কালচে ছোপ ধরে যায়। এ সবই কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিসের লক্ষণ। ধাতব গয়না থেকে যে অ্যালার্জি হয়, তাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলে ‘নিকেল অ্যালার্জি’। সারতে অনেক সময় লাগে। এই ধরনের অ্যালার্জি থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু উপায় জেনে রাখুন।
কেন হয় অ্যালার্জি?
‘মেটাল অ্যালার্জি’ থাকলে সোনা বা রূপা অথবা জাঙ্ক গয়না থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। ‘জার্নাল অফ কসমেটিক ডার্মাটোলজি’-র তথ্য বলছে, সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থেকে আসার পর ত্বকে লাল লাল র্যাশ দেখা দিলে তা ‘সান অ্যালার্জি’ হিসাবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। তবে সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির প্রভাবে ধাতব কিছু থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। এই সমস্যাকে ‘ফোটোসেনসিটিভ ডিজ়অর্ডার’ অথবা ‘ফোটোডার্মাটোস’-ও বলা হয়।
আরও পড়ুন:
সারবে কী ভাবে?
১) অ্যালার্জির জায়গায় লাগাতে পারেন পেপারমিন্ট তেল। যেখানে জ্বালা বা চুলকানি হচ্ছে, সেই জায়গায় এই তেল মালিশ করলে প্রদাহ কমে যায় চটজলদি। ব্যথার জায়গায় শীতল অনুভূতি এনে দেয় এই তেল।
২) এক কাপ জলে ২-৩ ফোঁটা অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ তুলোয় করে নিয়ে র্যাশের জায়গায় লাগাতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি প্রদাহ কমে যাবে।
৩) আধ কাপ শিয়া বাটারের সঙ্গে আধ কাপ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণে এক কাপ জল দিয়ে ভাল করে ফোটাতে হবে। ফুটে গেলে ঠান্ডা করে তাতে ১ চা-চামচ ভিটামিন এ তেল ও কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহার করলে অ্যালার্জি সেরে যাবে।
৪) দই ও মধু, দু’টিরই অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ আছে। মধু প্রদাহনাশকও। দুই চামচ দইয়ের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে র্যাশের জায়গায় লাগাতে হবে। এতে সেই জায়গার ত্বক নরম হবে ও জ্বালা কমে যাবে।