Advertisement
E-Paper

স্যালাড খেয়ে থাকতে পারেন না, ভাত-ডাল খেয়েই কী ভাবে মেদহীন শরীর ধরে রেখেছেন আলিয়া ভট্ট?

আলিয়া ভট্টের ডায়েট কিন্তু একেবারেই স্যালাড-নির্ভর নয়। কোনও বাহারি ডায়েট প্ল্যান নয়, বরং ঘরের তৈরি সাধারণ খাবার খেয়েই তন্বী চেহারা ধরে রেখেছেন অভিনেত্রী। ছিপছিপে শরীর ধরে রাখতে রোজ কী খান অভিনেত্রী?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:১৪
আলিয়া ভট্ট।

আলিয়া ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।

অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ছিপছিপে শরীর দেখলে মনে হতেই পারে যে তাঁরা নিশ্চয়ই সারা দিন সেদ্ধ শাকসব্জি আর স্যালাড খেয়ে থাকেন। তবে আলিয়া ভট্টের ডায়েট কিন্তু একেবারেই সে রকম নয়। কোনও বাহারি ডায়েট প্ল্যান নয়, বরং ঘরের তৈরি সাধারণ খাবার খেয়েই তন্বী চেহারা ধরে রেখেছেন অভিনেত্রী।

রোজ স্যালাড খেয়ে থাকার পাত্রী নন আলিয়া। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমি একজন আদর্শ ভারতীয়। আমি একবারেই স্যালাড খেয়ে থাকতে পারি না। আমার ভাত-ডাল চাই, সব্জি চাই। রুটির ক্ষেত্রে কখনও জোয়ারের রুটি, কখনও আবার রাগির রুটি। চিনি কিন্তু আমি একেবারেই খাই না।’’

কোনও বাহারি ডায়েট প্ল্যান না-পসন্দ অভিনেত্রী আলিয়া ভট্টের।

কোনও বাহারি ডায়েট প্ল্যান না-পসন্দ অভিনেত্রী আলিয়া ভট্টের। ছবি: সংগৃহীত।

রোগা হওয়ার ডায়েটে অনেকেই সকলের আগে ভাত-রুটি খাওয়া বন্ধ করে দেন। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভাত-রুটি খেয়েও কিন্তু রোগা হওয়া সম্ভব, তবে মাথায় রাখতে হবে কিছু জরুরি কথা। ছোট থেকে মাছ-ভাতে অভ্যস্ত বাঙালি রোগা হতে গিয়ে হঠাৎ করে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিলে মুশকিলে পড়ে। তা অস্বাভাবিকও নয়। ভাতে আছে কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরে শক্তির জোগান দেয়। যতটা পরিমাণে ভাত আমরা খাই, তার বেশির ভাগটাই শরীর গ্রহণ করে। ভাতে ফাইবার নেই বললেই চলে। যদি ভাতের পরিমাণ কমিয়ে তার সঙ্গে ফাইবারসমৃদ্ধ আনাজপাতি যোগ করা যায়, তা হলে রোজই ভাত খাওয়া যায়। তবে ফ্যান গেলে নিয়েই ভাত খাওয়া উচিত। ফলে স্টার্চ বেরিয়ে যায় ভাত থেকে ও তা শরীরের ওজন বাড়ায় না, মত পুষ্টিবিদদের। অনেকেই ডায়েট করার সময়ে ব্রাউন রাইসের দিকে ঝোঁকেন। সাদা ভাতের তুলনায় ব্রাউন রাইসের মধ্যে ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার থাকে বেশি। তবে ব্রাউন রাইসের স্বাদ আবার অনেকেরই অপছন্দ। সে ক্ষেত্রে রোজ সিদ্ধ চালের সাদা ভাত খেতে পারেন। তবে সিদ্ধ, ঢেঁকিছাঁটা, কালো— যে ধরনের চাল থেকেই ভাত তৈরি হোক না কেন, পরিমাণ হোক সীমিত।

পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব সময় সকালের দিকে রুটি খেয়ে নেওয়া ভাল। তা হলে রুটিতে থাকা কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম হবে। বিকাল ৪টের পর কার্বোহাইড্রেট না খাওয়াই শ্রেয়। কতগুলি রুটি খাবেন, তা নিয়ে অবশ্য কোনও বাঁধাধরা নিয়ম নেই। তবে মাথায় রাখতে হবে, রুটি যত বেশি খাবেন শরীরে কার্বোহাইড্রেটও তত পরিমাণে প্রবেশ করবে। তাই সকালে রুটি খেলে দুটো থেকে তিনটে খেতে পারেন। তবে দুপুরের দিকে দুটোর বেশি না খেলেই ভাল। তবে রুটি খেলেও ওজন বেড়ে যেতে পারে। গমের চেয়ে রাগি, জোয়ার, বাজরা দিয়ে তৈরি রুটি ওজন কমানোর জন্য বেশি উপকারী। কারণ এগুলির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম থাকে। ফলে শরীরে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি পায় না। জোয়ার, বাজরা এমনিতেই বেশ পুষ্টিকর। ছিপছিপে থাকতে সাহায্য করে এগুলি।

Weight Loss Tips Weight loss Food
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy