জানুন সোয়েটার পরে শুতে গেলে কী কী বিপত্তি বাধতে পারে।
শীত আর বাঙালির মধ্যে বিশ্ব যুদ্ধ বাধলে নিঃসন্দেহে বাঙালির পরমাণু বোমা হত মাঙ্কি টুপি আর সোয়েটার। কিন্তু শোয়ার সময় সোয়েটার পরে শুতে গেলে সেই সোয়েটারই হয়ে উঠতে পারে ঘর শত্রু বিভীষণ। জানুন সোয়েটার পরে শুতে গেলে কী কী বিপত্তি বাধতে পারে।
১। উষ্ণতার পরিবর্তনে সংবহনতন্ত্রের নালীর সংকোচন ও প্রসারণ হয়। ভারী সোয়েটার পরে শুয়ে পড়লে অনেক সময় খুব দ্রুত বেড়ে যায় শরীরের তাপমাত্রা। বাইরের ঠান্ডার পর আচমকা এই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া সংবহনতন্ত্রের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষত হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা থাকলে এই ঘটনা বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
২। রাতে সোয়েটার পরে ঘুমোতে গেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমনিতেই বাংলার শীত শুষ্ক। ফলে রাতে যদি এমন ঘটনা ঘটে তবে তা এক্সিমার মতো ত্বকের রোগ ডেকে আনতে পারে।
৩। সাধারণত সোয়েটার যে ধরনের উপাদানে তৈরি হয় তা তাপমাত্রার রোধ হিসেবে কাজ করে, কাজেই সাধারণ সুতির পোশাকের থেকে অনেক বেশি তাপমাত্রা সংরক্ষিত হয় এতে। অতিরিক্ত উষ্ণতা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
৪। উলের মোজা পরে ঘুমোনোও ভাল অভ্যাস নয়। উল তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য উপযোগী হলেও ঘাম শোষণ করতে পারে না একেবারেই। ফলে পায়ে ঘাম জমে যাওয়ার সমস্যা হয়, এতে পায়ে নানা রকম জীবাণু জন্ম নেয়। তৈরি হতে পারে নানা চর্মরোগ।
৫। শিশুদের ঠান্ডা থেকে বাঁচানোর জন্য অনেকেই ঘুমের সময়ও গরম পোশাক পরিয়ে রাখেন। কিন্তু এতে উপকরের বদলে অপকারই হয় বেশি। গরমে ঘাম হয়ে গেলে বুকে ঠান্ডা বসে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy