শরীরে পুষ্টিগুণের অভাব দেখা দিলে নানা জটিল রোগ দেখা দিতে পারে। তবে অনেক সময়েই আমরা তা খেয়াল করি না। কিন্তু দেহে পুষ্টিগুণের অভাব ঘটলে শরীর বিভিন্ন লক্ষণের মাধ্যমে তা প্রকাশ করে। যেমন দেহের উষ্ণতার তারতম্য এবং ঘন ঘন পেশির খিঁচ ধরা এ ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুন:
মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিন্তু দেহে পুষ্টি উপাদানের অভাবে তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। কারও হাত-পা যদি খুব ঠান্ডা মনে হয়, তা হলে বুঝতে হবে, দেহে আয়রন বা আয়োডিনের অভাব তৈরি হয়েছে। এই রকম পরিস্থিতিতে দেহে থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। আবার দেহে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি তৈরি হলে মাঝেমধ্যেই পেশিতে টান ধরতে পারে। বিশেষ করে হাঁটাচলা করতে গিয়ে পায়ের পেশিতে টান ধরা এ ক্ষেত্রে অপুষ্টির ইঙ্গিত দেয়। পেশিতে ঘন ঘন খিঁচ ধরলে বুঝতে হবে, দেহে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের অভাব দেখা দিয়েছে।
অন্যান্য কারণ
এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি লক্ষণ থেকে স্পষ্ট হতে পারে যে দেহে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যেমন ক্লান্তি। পর্যাপ্ত ঘুম সত্ত্বেও কেউ যদি সারা দিন ক্লান্তিবোধ করেন, তা হলে সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ, দৈনন্দিন কাজকর্মে দেহের প্রয়োজনীয় শক্তি পুষ্টির থেকেই পাওয়া যায়। তাই সারা ক্ষণ ক্লান্ত থাকলে বুঝতে হবে, দেহে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
আবার দেহে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি তৈরি হলে নখ খুবই ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। পাশাপাশি চুলও রুক্ষ হয়ে ওঠে, ঘন ঘন চুল পড়তে থাকে। অনেক সময়ে অকালপক্বতার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বুঝতে হবে দেহে জ়িঙ্ক, বায়োটিন এবং আয়রনের অভাব দেখা দিয়েছে। আবার অল্প চোটেই যদি আঘাতের স্থানে ত্বক বেগনি আকার ধারণ করে বা ফুলে যায়, তা হলে সাবধান হওয়া উচিত। দেহে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে-এর অভাব তৈরি হলে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।