ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহে কলকাতার ডিসান হাসপাতালে মক ড্রিল পরিচালনা করা হয়েছিল। জরুরি অবস্থার কালে হাসপাতাল রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য কতটা প্রস্তুত, তা যাচাই করার জন্যই মক ড্রিলের আয়োজন করা হয়। তবে কেবল সংঘাতের পরিস্থিতি নয়, যে কোনও জরুরি অবস্থার জন্যই হাসপাতালের পরিকাঠামো কতটা তৈরি, কী কী পরিষেবা অতি দ্রুত রোগীদের দেওয়া যাবে, কত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা যাবে— এই সব বিষয় নিয়েই ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়।
উল্লেখ্য, ছাদে হেলিপ্যাড রয়েছে ডিসানের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে মক ড্রিলের আয়োজন করা হয়েছিল তাতে দু’টি দল অংশ নেয়। কোনও রকম জরুরি অবস্থা তৈরি হলে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে রোগীদের কী ভাবে হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা কেমন, ইমার্জেন্সি বিভাগ কত দ্রুত পরিষেবা দিতে পারবে, তার প্রস্তুতি নেওয়া হয় মক ড্রিলে। হাসপাতালের ডিরেক্টর সুজয়রঞ্জন দেবের তত্ত্বাবধানে মক ড্রিলের আয়োজন করা হয়। জরুরি মেডিক্যাল পরিষেবা বিভাগের প্রধান মনজিৎ কউর, নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার প্রধান মৃদুল দাসও ছিলেন সেই অনুশীলনে।

অনুশীলন চলছে ডিসান হাসপাতালে। ছবি: ডিসান হাসপাতাল।
আরও পড়ুন:
আরও কিছু ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয় অনুশীলনে, যেমন— বাড়ি ধসে কেউ আহত হলে তাঁর চিকিৎসা কত দ্রুত করা সম্ভব, অথবা দগ্ধ হওয়া, বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সেই রোগীর চিকিৎসা কী ভাবে হবে, সে সবই যাচাই করে দেখা হয়। রোগীদের কত দ্রুত পরিষেবা দেওয়া যাবে, সেটিই ছিল এই অনুশীলনের মূল লক্ষ্য।

হাসপাতালে মক ড্রিল। ছবি: ডিসান হাসপাতাল।
ডিসান হাসপাতাল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর সজল দত্ত এই বিষয়ে জানান, দেশের যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা দেওয়ার জন্যই মক ড্রিলের আয়োজন করা হয়েছিল। হাসপাতালের পরিকাঠামো আরও কতখানি উন্নত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগ কী ভাবে কাজ করবে, তার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পাশাপাশি, হাসপাতালের কর্মীদের এই নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও হয়।