রোজের চরম ব্যস্ততা, তার মধ্যেও হয়তো কিছুই ভাল লাগছে না আপনার। মনের এমন অবস্থা কমবেশি সকলেরই হয়। অফিসে কাজের চাপ বাড়ছে, ব্যক্তিগত জীবনেও নানা সমস্যা। সব কিছু সামলে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। দুশ্চিন্তারও শেষ নেই। মাঝেমধ্যে বহু জনের মধ্যে থেকেও মনে হয় পাশে কেউ নেই। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে ইচ্ছে করে না। আত্মীয়-পরিজনকে এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল হয়। চেনা-পরিচিত কারও মুখোমুখি পড়ে গেলেও, কথা বলার ইচ্ছা থাকে না। মনোবিদেরা বলেন, ক্লান্তি, অবসাদ আর হতাশা যখন মন জুড়ে থাকে, তখন তার থেকেই বিচ্ছিন্নতাবোধ জন্মায়। মন বিষণ্ণ হয়ে থাকে। কোনও কিছুতেই উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে না। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘ডিসোসিয়েটিভ ডিজ়অর্ডার’ বলা হয়। এমন হতাশা থেকে মুক্তি পেতে জটিল কোনও চিকিৎসাপদ্ধতির প্রয়োজন নেই। পুজোর সময়ে মন যাতে ভাল থাকে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূরে থাকে, সে জন্য রোজ অভ্যাস করুন বিশেষ কিছু যোগাসন।
কোন কোন যোগাসনে মনের মেঘ কাটবে?
উত্তনাসন বা স্ট্যান্ডিং ফরোয়ার্ড ফোল্ড
ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। কোমর, পিঠ থাকবে টান টান। এ বার কোমর থেকে শরীর ঝুঁকিয়ে দুই হাতের তালু দিয়ে মাটি স্পর্শ করার চেষ্টা করতে হবে। তবে হাঁটু ভাঙলে হবে না। শরীরচর্চা করার অভ্যাস না থাকলে খুব বেশি ক্ষণ এই অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন না। মোটামুটি ১০ সেকেন্ড মতো থেকে আবার প্রথম অবস্থানে ফিরে আসুন।
আরও পড়ুন:
বদ্ধ পদ্মাসন
প্রথমে পদ্মাসনে বসতে হবে। পিঠ টানটান রাখতে হবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। হাত দু’টি পিঠের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এর পর দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের আঙুল ধরতে হবে, অর্থাৎ পিঠের দিক থেকে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুল ও ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের বুড়ো আঙুল ধরতে হবে। এই ভঙ্গিমায় ২০ গুণে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসতে হবে।
শবাসন
কেবল হাত-পা ছড়িয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লেন মানেই শবাসন হয়ে গেল, এ রকম ভাবার কোনও কারণ নেই। এই আসনের নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতি রয়েছে। শবাসন করতে হলে প্রথমে পিঠের উপর ভর দিয়ে শুতে হবে। তার পর হাত দু’টো পাশে রেখে দুই পা সোজা করে রাখতে হবে। হাতের তালু থাকবে উপরের দিকে। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে হবে। এক সময় ভারী হতে হতে শরীর ছেড়ে দেবে। হাত-পা না নাড়িয়ে চোখ বন্ধ করে মনঃসংযোগ করতে হবে। এই ভাবে যত ক্ষণ সম্ভব থেকে, শরীর শিথিল করতে পারেন।