Advertisement
E-Paper

ঋতুস্রাবের সময়ে মূত্রনালির সংক্রমণে ভোগেন অনেকে, তলপেটে যন্ত্রণা বাড়ে, সুস্থ থাকার উপায় কী?

মূত্রনালিতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি মহিলাদের। ঋতুস্রাবের সময়ে সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়ে। এই সময়ে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন, জেনে নিন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৫৪
ঋতুকালীন সময়ে সংক্রমণজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে, সুস্থ থাকার উপায় কী?

ঋতুকালীন সময়ে সংক্রমণজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে, সুস্থ থাকার উপায় কী? ছবি: ফ্রিপিক।

মূত্রনালির সংক্রমণে বেশি ভোগেন মহিলারাই। একে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন’। সংক্ষেপে ‘ইউটিআই’। যে কোনও বয়সেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। জল কম খাওয়া, অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার ব্যবহার, ঋতুস্রাবের সময় পরিচ্ছন্নতা মেনে না চলা ইত্যাদি নানা কারণ রয়েছে এই রোগের। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, প্রস্রাবের জায়গায় জ্বালা বা ব্যথা হলে অনেক মেয়েরা লজ্জার কারণে তা বলতে চান না। চিকিৎসকের কাছেও যান না। ফলে সংক্রমণ ভিতরে ভিতরে থেকেই যায়। ঋতুস্রাবের সময়ে সংক্রমণ আরও বড় হয়ে দেখা দেয়। বেশির ভাগ মহিলাই বলবেন, ঋতুস্রাবের ওই চার থেকে পাঁচ দিন তাঁদের প্রস্রাবের জায়গায় জ্বালা বা যন্ত্রণা হয়। হালকা জ্বরও আসে অনেকের। সেই সঙ্গেই তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়।

ঋতুকালীন সময়ে সংক্রমণজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এর কারণ হল পরিচ্ছন্নতার অভাব। ঋতুকালীন পরিচ্ছন্নতা কতটা জরুরি, তা না বুঝলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাবে। তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। ঋতুস্রাবের সময়ে পরিচ্ছন্নতার অভাব থাকলে মূত্রনালির সংক্রমণ, জরায়ুমুখের ক্যানসার-সহ শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কী কী নিয়ম মানলে সুস্থ থাকবেন?

১) ৬-৭ ঘণ্টার বেশি একটি ন্যাপকিন কখনও রাখা উচিত নয়। দীর্ঘ ক্ষণ একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করলে তা থেকে সংক্রমণের ভয় থাকে।

২) সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঋতুকালীন স্রাবের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিনের পাশাপাশি ট্যাম্পন, মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার হচ্ছে। এগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও মাথায় রাখতে হবে, ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে ট্যাম্পন বদলে নিতে হবে। মেনস্ট্রুয়াল কাপ অত্যন্ত ভাল ভাবে গরম জল ও সাবান দিয়ে পরিষ্কার না করে পুনরায় ব্যবহার করলে তা থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে।

৩) এই সময়ে প্রোবায়োটিক জাতীয় খাদ্য বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। এই ধরনের খাবার ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। দই প্রোবায়োটিকের ভাল উৎস। দই খেলেও উপকার পেতে পারেন। বাটারমিল্কও খেতে পারেন। এতেও প্রোবায়োটিক থাকে ভাল পরিমাণে। টকদই দিয়ে লস্যি বা ঘোল বানিয়েও খাওয়া যায়। চিজ়ে প্রোবায়োটিক থাকে। তবে কেনার আগে তার উৎস ভাল করে দেখে নিতে হবে।

৪) সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার জল খেতেই হবে। সেই সঙ্গে তরল জাতীয় খাবার রাখতে হবে ডায়েটে। পাতলা ডালের জল, চিকেন স্ট্যু, নিরামিষ খেলে সব্জি দিয়ে পাতলা ঝোল খেতে পারলে শরীর সুস্থ থাকবে।

৫) ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার জন্য এমন কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না, যাতে ক্ষারের পরিমাণ অনেক বেশি। এই ধরনের প্রসাধনী থেকে ইউটিআই ছাড়াও আরও অনেক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

Menstruation Urinary Tract Infection
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy