ঘরোয়া উপায়ে এই রোগ বশ করার কিছু টোটকা রয়েছে। ছবিঃ সংগৃহীত
শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে বার্ধক্যের আদতে কোনও সম্পর্ক নেই। বয়স বাড়লেই যে রোগ শরীরে হানা দেয়, তার কোনও মানে নেই। এমন অনেক সমস্যা রয়েছে, যেগুলি অল্প বয়সেও হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য তেমনই একটি সমস্যা। নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই এই রোগের। রোজের অনিয়ম, জল কম খাওয়া, অতিরিক্ত পরিমাণে ভাজাভুজি খাওয়া, বাইরের তেল-মশলা খাবারের প্রতি ঝোঁক কোষ্ঠকাঠিন্য ডেকে আনে। এ ছাড়া শরীরে ফাইবারের ঘাটতিও কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ। তবে ঘরোয়া উপায়ে এই রোগ বশ করার কিছু টোটকা রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
আমলকির রস
আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি, এ-র উপকারী ভিটামিন। যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ঠেকাতেও কিন্তু ভরসা রাখতে পারেন আমলকির রসে। কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীরা প্রতি দিন গরম জলে আমলকির রস মিশিয়ে খেতে পারেন। সুফল পাবেনই।
চিয়াবীজ
প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবারে সমৃদ্ধ চিয়াবীজ কোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া ওষুধ হতেই পারে। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের পাশাপাশি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমাত সাহায্য করে। ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে চিয়াবীজ দারুণ উপকারী।
নারকেল তেল
রূপচর্চা থেকে ওজন কমানো— সবেতেই নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতেও কিন্তু নারকেল তেল ঠিক তেমন ভাবেই সাহায্য করে। নারকেল তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। নারকেল তেলে রান্না করতে পারেন। অথবা স্যালাডের উপর থেকে নারকেল তেল ছড়িয়ে দিতে পারেন।
যে খাবারে ফাইবার বেশি
হজমশক্তি ঠিক রাখতে ফাইবার দারুণ সাহায্য করে। হজমের গোলমাল থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্ম। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে থাকতে ফাইবার আছে এমন খাবার বেশি করে খান। বেরি, ওট্স, বিনস্, ডাল, মটরশুঁটিতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার। নিয়মিত এগুলি খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy