কোন উপসর্গ দেখলে বুঝবেন মুখে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার? ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে মুখের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু-হু করে। গুটখা, খৈনি, পানমশলা, সিগারেট খাওয়ার অভ্যাসই ডেকে আনে এই মারণরোগের ঝুঁকি। জেনেবুঝেও এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না অনেকেই।
চিকিৎসকদের মতে, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে মুখের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব। নারীদের তুলনায় পুরুষেরাই এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন বেশি। ঠোঁট, জিভ, গালের ভেতরের অংশ, মাড়ি, মুখের শক্ত ও নরম তালু, গলার নীচের অংশ— মুখের এই সব অংশই ক্যানসারে আক্রান্ত হয় বেশি।
তামাকজাত পদার্থ ছাড়া মদ্যপানও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর সংক্রমণ, পরিবারের কারও ক্যানসারের ইতিহাস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কম থাকা, অপুষ্টি ইত্যাদি কারণেও এই রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। মুখের ক্যানসারের সাধারণ কিছু উপসর্গ রয়েছে, যা অবহেলা করলে ক্ষতি হতে পারে মারাত্মক। কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
১. মুখের ভিতরে কোনও ব্যথাহীন ফোলা অংশ আছে কি? তা যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে কিংবা মুখের ভিতরে মাংসপিণ্ড জমাট বাঁধতে থাকে, তা হলে অবজ্ঞা না করে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এটি ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
২. জিভ নাড়াতে অসুবিধা হওয়া কিংবা কথা বলার সময় সমস্যা হওয়াও কিন্তু মুখের ক্যানসারের লক্ষণ। এ ছাড়া হাঁ করতে অথবা মুখ খুলতে প্রবল ব্যথা হলেও অবহেলা না করে চিকিৎসকের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করুন।
৩. ঠান্ডা লাগলে বা কোনও ভাইরাল জ্বর হলে গলায় ব্যথা হয়, ঢোক গিলতেও সমস্যা হয়। তবে সেই ব্যথা স্বল্প দিনের। যদি দেখেন দীর্ঘ দিন পরেও এই ব্যথা কমছে না, তা হলে সতর্ক হতে হবে।
৪. মুখের মধ্যে কোনও সাদাটে বা লালচে ছোপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষত তিনি যদি তামাকে আসক্ত হন, লিউকোপ্লাকিয়া অর্থাৎ সাদাটে প্যাচ হল প্রাথমিক ক্যানসারের লক্ষণ।
৫. গালে বা গলায় কোনও ফোলা অংশ, যা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু কোনও ব্যথা-যন্ত্রণা নেই বললেই চলে— এমন উপসর্গ দেখলেও কিন্তু সতর্ক হতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy