তাড়াতাড়ি অনেকটা ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। তা স্বাস্থ্যকরও হবে না। যদি শরীরচর্চার সময় না থাকে, তা হলে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ এনে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে ২-৩ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। তবে তাতে খাবার খেতে হবে বেছে ও মেপে। শরীর চাঙ্গা রাখতে চাইলে কিন্তু কেবল সবুজের উপর ভরসা রাখলেই চলবে না। রোজের ডায়েটে সবুজের পাশাপাশি আরও নানা রঙের ফল ও শাকসব্জিও রাখতে হবে পাতে। তাতে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও ফাইবারের ভারসাম্য বজায় রাখে।
রামধনু ডায়েটে কী কী খেতে হবে?
নানা রঙের সব্জি: ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি, কালো জাম, বেগুন, বেগনি বাঁধাকপি ইত্যাদি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রোজকার ডায়েটে রাখতে পারেন। শাকপাতার মধ্যে লাল শাক খেতে পারেন। নানা রঙের সব্জিতে থাকা ফাইবার বাড়তি ক্যালোরি ঝরাবে, হার্ট ভাল রাখবে। হজমশক্তিও উন্নত হবে।
সবুজ সব্জি: সবুজ শাকসব্জির মধ্যে পালংশাক সবচেয়ে উপকারী। এ ছাড়া শসা, কড়াইশুঁটি, লেটুস, বাঁধাকপি, অন্যান্য শাক, কিউয়ি, সবুজ আঙুর ডায়েটে বেশি করে রাখতে পারেন। সবুজ শাকশব্জিতে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ থাকে। দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে, হৃদ্যন্ত্র সবল রাখতে সবুজ শাকসব্জির তুলনা নেই। তবে খুব বেশি রান্না করে ফেললে আবার এগুলির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই হালকা সেদ্ধ করে বা কাঁচা খেলেই বেশি উপকার পাবেন।
আরও পড়ুন:
হলুদ সব্জি ও ফল: মুসাম্বি, ভুট্টা, আনারস, হলুদ বেলপেপারে থাকা ক্যারোটিনয়েড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া, ত্বক ভাল রাখতে, ক্যানসারের ঠেকিয়ে রাখতেও হলুদ সব্জি উপকারী।
লাল সব্জি ও ফল: টোম্যাটো, স্ট্রবেরি, বিট, চেরি, লাল বেলপেপার— লাল রঙের ফল ও সব্জিতে ভাল মাত্রায় ভিটামিন এ এবং সি থাকে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে, হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে ও হাঁপানির সমস্যা ঠেকিয়ে রাখতে ডায়েটে লাল ফল ও সব্জি বেশি করে রাখা জরুরি।