হ্যাকারদের নিশানায় রয়েছে জিমেল। অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা তো বটেই, ‘ফিশিং’,’ক্লোনিং’-এর ফাঁদে পা দিলেই সর্বনাশ। মুহূর্তে যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে গ্রাহককে সর্বস্বান্ত করবে সাইবার অপরাধীরা। তাই জিমেল সুরক্ষিত রাখতে ও প্রতারণা থেকে বাঁচতে ‘সেফ লিস্টিং’ ফিচারটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
‘সেফ লিস্টিং’ কী?
জিমেলে যত মেল আছে তার মধ্যে থেকে জরুরি মেলগুলিকে বেছে আলাদা করার পদ্ধতি। ইনবক্সে জরুরি মেল আইডিগুলিকে ফিল্টার করে রাখা যায় এই পদ্ধতিতে। তাতে স্প্যাম মেলগুলি আলাদা হয়ে যাবে। ইনবক্স খুললে কেবল চেনা আইডিগুলি থেকে আসা গুরুত্বপূর্ণ মেলগুলিই উপরে থাকবে। অজানা আইডি থেকে আসা মেল, স্প্যাম মেল অথবা ম্যালঅয়্যার আছে এমন মেলগুলিকে ফিল্টার করে আটকে দেওয়া হবে।
জিমেলের মাধ্যমে সাইবার প্রতারণা বেড়ে গিয়েছে। অজানা লিঙ্ক থেকে আসা মেলে ক্লিক করে ফেললেই ডিভাইসে ইনস্টল হয়ে যাচ্ছে ম্যালঅয়্যার। আর গোটা ডিভাইসটির নিয়ন্ত্রণই চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের হাতে। তা ছাড়াও ‘ক্লোন’ পদ্ধতিতেও প্রতারণার নতুন ফাঁদ পেতেছে অপরাধীরা। এতে গুগ্লের অফিশিয়াল ই-মেল ক্লোন করে সেখান থেকে গ্রাহকদের বার্তা পাঠাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। সেখানে থাকছে একটি লিঙ্ক। এতে সন্দেহ তৈরি না হওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লিঙ্কটিতে ক্লিক করছেন গ্রাহকেরা। এ ভাবেই হ্যাকারদের ফাঁদে পড়ছেন তাঁরা। এই সব থেকে বাঁচার উপায় হতে পারে ‘সেফ লিস্টিং’।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে এই ফিচারটি ব্যবহার করবেন?
১) জিমেলে লগইন করে ডান দিকে উপরে সেটিংস আইকনটিতে ক্লিক করুন।
২) ড্রপডাউন মেনুতে গিয়ে ‘সি অল সেটিংস’ অপশনে যেতে হবে।
৩) এ বার সেখানে গিয়ে ‘ফিল্টার অ্যান্ড ব্লকড অ্যাড্রেস’ ট্যাবে গিয়ে ক্লিক করতে হবে।
৪) সেখান থেকে ‘ক্রিয়েট ফিল্টার’ অপশনে ক্লিক করুন। এই অপশনটি জরুরি ও ব্যক্তিগত জিমেলগুলিকে বেছে নেবে।
৫) ফিল্টার অপশনটি খোলার পরে একটি চেকবক্স পাবেন যেখানে লেখা যাকবে ‘নেভার সেন্ড ইট টু স্প্যাম’। এই অপশনটি অবাঞ্ছিত মেলগুলিকে আলাদা করে দেবে।
৬) এ বার ‘ক্রিয়েট ফিল্টার’-এ গিয়ে ক্লিক করলেই ‘সেফ লিস্টিং’ ফিচারটি অন হয়ে যাবে।