জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরানো নয়। ঘরে বসেও যোগাসনও নয়। গ্রিন এক্সারসাইজ় ব্যায়ামেরই এমন পদ্ধতি, যা শরীরের পাশাপাশি মনকেও ভাল রাখে। শরীরচর্চার নিত্যনতুন ধারা আসছে। কখনও তারকারা আবার কখনও নামী ফিটনেস প্রশিক্ষকেরা, নানা রকমের যোগাসন, অ্যারোবিক্স, স্ট্রেংথ এক্সারসাইজ, কার্ডিয়োর নতুন নতুন পদ্ধতি শেখাচ্ছেন। এ সবের মাঝেই কিন্তু গ্রিন এক্সারসাইজ় নিয়েও চর্চা হচ্ছে। মেদ কমানোর পাশাপাশি উদ্বেগ কমাতেও আদর্শ এই ব্যায়াম।
গ্রিন এক্সারসাইজ় কী?
প্রকৃতির মাঝে ব্যায়াম। রোজ অন্তত কিছুটা সময় বার করে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে বলছেন ফিটনেস প্রশিক্ষকেরা। গাছপালা রয়েছে এমন জায়গায় বা পার্কে, মাঠে, বাড়ির বাগানে যেখানে হোক, ব্যায়াম করতে পারলে শরীর ও মনের কসরত একই সঙ্গে হয়ে যাবে।
প্রকৃতির মাঝে ব্যায়াম করার উপকারিতা অনেক। এই বিষয়ে ফিটনেস প্রশিক্ষক অনুপ আচার্যের মত, সময় ও জায়গার অভাবে জিমের বাতানুকূল ঘরে অথবা বন্ধ চার দেওয়ালের মধ্যেই ব্যায়াম করানো হয়। কিন্তু যদি সেই ব্যায়ামই সবুজ গাছপালা ঘেরা জায়গায় করা যায়, তা হলে যেমন প্রকৃতির সঙ্গে মনের সংযোগ তৈরি হবে তেমনই শরীরে অক্সিজেনও বেশি যাবে। গ্রিন এক্সারসাইজ়ে মন শান্ত হয়, ভাবনাচিন্তা স্বচ্ছ হয়, শরীর বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি পায়, অবসাদ ও একঘেয়েমি থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল গ্রিন এক্সারসাইজ়।
আরও পড়ুন:
কী কী ব্যায়াম করা যেতে পারে?
১) খালি পায়ে হাঁটা: খালি পায়ে ১০ মিনিট ঘাসের উপর হাঁটতে পারলে শরীর সতেজ থাকবে, দুশ্চিন্তা কমবে।
২) দৌড়নো বা জগিং: পার্কে বা মাঠে গিয়ে সকাল সকাল দৌড়তে পারলে বা জগিং করলে উপকার অনেক। প্রশিক্ষক জানাচ্ছেন, খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময়ে প্রকৃতির মাঝেই নানা অনুশীলন করানো হয়। এতে শরীর ও মনের ব্যায়াম একই সঙ্গে হয়।
৩) সূর্য নমস্কার: সূর্য নমস্কার করলে সারা শরীরের ব্যায়াম হয়। রক্ত সঞ্চালন ভাল থাকে। ফুসফুস থেকে হার্ট, লিভার, কিডনি— সব অঙ্গই ভাল থাকবে এই ব্যায়াম করলে। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল হয়, মনও ভাল থাকে নিয়মিত সূর্য নমস্কার করলে। অনেক জটিল অসুখের ঝুঁকিও কমে যায়।
৪) শ্বাসের ব্যায়াম: শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে পিঠ সোজা করে পদ্মাসনে বা সুখাসনে বসতে হবে। চোখ বন্ধ রেখে মনোনিবেশ করতে হবে শরীরে শ্বাসবায়ুর প্রবেশ এবং বেরিয়ে যাওয়ার উপরে। নাক দিয়ে গভীর ভাবে শ্বাস নিন। সাধ্যমতো কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন। তার পর ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন। পুরো পদ্ধতিটি সাত-আট বার করে করতে হবে।