— প্রতীকী চিত্র।
গরম থেকে ঠান্ডা, আবার ঠান্ডা থেকে গরম। আবহাওয়ার পরিবর্তনে খুসখুসে কাশি, অ্যালার্জিজনিত সর্দি বা জ্বরে আক্রান্ত হন অনেকেই। এই সময়ে বাতাসে নানা রকম ভাইরাসের আনাগোনা বেড়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে রোগের প্রকোপ বাড়ে। তবে এই ধরনের সমস্যা সারা বছর ধরে চলার কথা নয়। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, খুসখুসে কাশি, সর্দিজ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে ভারতীয়দের ফুসফুসে। ভেলোরের ক্রিশ্চান মেডিক্যাল কলেজের গবেষকেরা এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যায় চিনা এবং ইউরোপীয়দের চেয়ে কয়েক গুণে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ভারতীয়রা। কারও কারও ফুসফুস এমন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, তা আর কোনও দিন স্বাভাবিক হওয়ার নয়।
তবে, কোভিড সেরে যাওয়ার মাস দুয়েক পর ফুসফুসের কার্যক্ষমতা এবং বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা করার পর নানা ধরনের সমস্যা ধরা পড়েছে। যা চিকিৎসকদের কাছেও বেশ চিন্তার। দেখা গিয়েছে, বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে তা রক্তবাহিকার মধ্যে স্থানান্তরিত করার ক্ষমতা কমেছে প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষের। শ্বাসযন্ত্র বা ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা দেখা গিয়েছে ৩৫ শতাংশের মধ্যে। শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়ার যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তা-ও ব্যাহত হয়েছে ৮.৩ শতাংশ মানুষের। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরেও ভারতীয়দের মধ্যে এর প্রকোপ দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণ হল কোমর্বিডিটি। যা ইউরোপীয় এবং চিনাদের মধ্যে অনেকটাই কম। বেশির ভাগ ভারতীয়ই উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিসের মতো রোগে আক্রান্ত। আর এই কারণেই অন্যান্যদের তুলনায় ভারতীয়দের শ্বাসযন্ত্র বা ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা জটিল রূপ নিচ্ছে বলে মনে করছেন ক্রিশ্চান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডিজে ক্রিস্টোফার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy