ওষুধ, খাবার, প্রসাধনীর মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ থাকে। তার পরে এগুলি ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। কিন্তু তা বলে, শোয়ার ঘরে ব্যবহৃত বালিশের মেয়াদ ফুরনোর সময় হয়? এই কথা শুনলে ভ্রু কুঞ্চিত হতে পারে যে কোনও ব্যক্তিরই।
মুম্বইয়ের অস্থিচিকিৎসক মান্নান ভোরা জানাচ্ছেন, মেয়াদ ফুরোয় বালিশেরও। সমাজমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ দেন তিনি। চিকিৎসকের কথায়, পুরনো এবং অপরিচ্ছন্ন বালিশ— ঘুম থেকে স্বাস্থ্য, দুইয়ের উপরেই প্রভাব ফেলতে পারে।
যে বালিশে শোয়া হয়, সেটি সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে থাকে। বালিশেই লাগে ঘাম। তা ছাড়া বালিশে থাকা ধুলো,-ময়লাও ত্বকে লাগে। সেই ধুলো-ময়লা শ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসেও যায়। তা থেকেই ত্বকে সংক্রমণের আশঙ্কা যেমন উড়িয়ে দেওয়া যায় না, তেমনই ফুসফুসের সমস্যাও ক্ষেত্র বিশেষে হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তা ছাড়া, এক এক ধরনের বালিশ এক এক রকম জিনিস দিয়ে তৈরি হয়। পলিয়েস্টার থেকে তুলো, ল্যাটেক্স— এক এক রকম উপাাদানের বালিশের মেয়াদ এক এক রকম হয়।
কোনটি কত দিন ব্যবহার করা হবে, তা নির্ভর করছে সেটির উপাদান, কভার পরিয়ে ব্যবহার করা হয় কি না, কত দিন অন্তর কভার কাচা হয় তার উপরে। সাধারণত পলিয়েস্টার দিয়ে তৈরি বালিশ ৬-৮ মাস ব্যবহার করা চলে। ল্যাটেক্সের বালিশ ২-৩ বছর ব্যবহার করা যায়। বাকহুইট বা সুতোর তন্তু ব্যবহারে তৈরি বালিশটি অন্তত ৫ বছর মাথায় দেওয়া যায়।
ঘুম, শোয়ার সময় সঠিক ভঙ্গিমা এবং স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বালিশও বদলে ফেলা দরকার।