শীত আসা মানেই বাগান সেজে ওঠে রঙিন ফুলে। শীতের মরসুম নানা রকম ফুল ফোটার জন্য আদর্শ। মিঠে-কড়া রোদে বাগানে বসে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে প্রস্তুতি দরকার এখনই। হাতে ২-৩ মাস সময় রয়েছে। এখন থেকে কী ভাবে উদ্যান সাজানোর প্রস্তুতি নেবেন? কোন গাছই বা বসাবেন?
অ্যালিসাম: একেবারে অল্প যত্নে বেড়ে ওঠার গাছ চাইলে অ্যালিসাম ভাল। এটি ‘কার্পেট ফ্লাওয়ার’ নামেও পরিচিত। শীতকালই এই গাছের জন্য আদর্শ সময়। থোকা থোকা ফুল ফুটলে মনে হবে যেন গালিচা বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
জল জমতে পারবে না এমন ঝুরঝুরে মাটি এই গাছের জন্য আদর্শ।৭০ শতাংশ বাগানের মাটির সঙ্গে ৩০ শতাংশ জৈব সার প্রয়োগে মাটি প্রস্তুত করে নিন। প্রতি দিন ৬-৮ ঘণ্টা সূর্যালোক আর মাপমতো জল পেলেই গাছ নিজের মতো বেড়ে উঠবে। ফুলগাছগুলি ঝোপের মতো করতে চাইলে মাঝেমধ্যে কাটছাঁট করে দেওয়া জরুরি।
স্ন্যাপড্রাগন: বাগানের রূপ বদলে দেবে এই গাছ। নানা রঙের হয় ফুলগুলি। ১০ ডিগ্রি-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আবহাওয়া এই গাছের জন্য আদর্শ। স্ন্যাপড্রাগন গাছের বেড়ে ওঠার জন্য ৬-৮ ঘণ্টা সূর্যালোক দরকার। মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে। শীতই ফুল ফোটার মরসুম। জৈবসার মিশিয়ে শুরুতেই মাটি তৈরি করে নিন। ফুল ফোটা শুরু হলে এক মাস অন্তর খোলপচা সার দিতে পারেন।
প্যানজ়ি: শীতের বাগিচার বাহার বাড়িয়ে তুলতে বেছে নিতে পারেন প্যানজ়ি। লাল, হলুদ, নীল রঙের উজ্জ্বল ফুল, তারই মধ্যে হলুদ, সাদার ছিটে। প্যানজ়ি ফুটে থাকলে দূর থেকে মনে হবে বাগানে যেন ঝাঁকে ঝাঁকে প্রজাপতি এসে বসেছে। ৮-১০ ইঞ্চি টব প্যানজ়ির জন্য বেছে নেওয়া চলে। তবে শুরু থেকেই জোর দেওয়া দরকার টবের জল নিষ্কাশনী ব্যবস্থায়। সাধারণ মাটি, কোকোপিট এবং ভার্মিকম্পোস্ট বা গোবর সার মিশিয়ে এই গাছের মাটি তৈরি করতে হবে। তার সঙ্গে যোগ করতে হবে কিছুটা বালি। বালি থাকলে গাছের গোড়ায় সহজে জল জমবে না।দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা সূর্যের আলোয় রাখা দরকার। গাছে কুঁড়ি এলে ২-৩ সপ্তাহ অন্তর সার প্রয়োগ করা দরকার।