জাঁকিয়ে শীত পড়লে সর্দি, হাঁচি, কাশির সমস্যা বাড়বেই। এ আর নতুন কী? সারা দিন গলা, নাক সুড়সুড় করবে। একের পর এক হাঁচি হবে। কিন্তু এই ধরনের সমস্যা নিয়ে তো কাজ করা যায় না। বয়স্ক এবং শিশুদের আবার সমস্যা বেশি। শীতের শুরুতেই যাঁদের শ্বাসকষ্ট হয়, তাঁদের বেশি করে সতর্ক থাকা উচিত। আয়ুর্বেদ মতে, শীতকালীন এই ধরনের সমস্যাগুলির সঙ্গে লড়াই করতে অন্যতম ভরসা হতে পারে আমলকি। ইদানীং অনেকেই সকালে খালি পেটে বাজার থেকে কেনা আমলকির রস খান। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আমলকির রসের চেয়ে গোটা একটি আমলকির পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।
১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ভিটামিন সি-র যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। মরসুম বদলে যে ধরনের সংক্রমণ হয়, তা রুখে দিতে পারে আমলকি।
২) পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড, ট্যানিন্সের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে আমলকির মধ্যে। এই সব উপাদান অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহের কোষ নষ্ট হয়ে যাওয়া রুখে দিতে পারে।
৩) হজমের গোলমাল ঠেকিয়ে রাখতে রোজ অ্যান্টাসিড খান? পরিস্থিতি জটিল হলে ওষুধ তো নিশ্চয়ই খাবেন। তবে রোজ একটি করে আমলকি খেলেই এই ধরনের হজম সংক্রান্ত সমস্যা নির্মূল করা যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্ট থেকেও মুক্তি দিতে পারে আমলকি।
৪) ওজন ঝরানোর প্রথম শর্ত হল বিপাকহার উন্নত করা। আমলকির মধ্যে যে পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে, তা বিপাকহার বাড়িয়ে তোলার পক্ষে উপযুক্ত।
৫) তারুণ্য ধরে রাখতে, ত্বকের কোলাজেন সিন্থেসিস বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। আমলকি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের উৎস। ত্বকের নিজস্ব জেল্লা ধরে রাখতেও সাহায্য করে এই আমলকি। শীতে হুড়মুড়িয়ে চুল পড়ছে? প্রসাধনীর পিছনে খরচ না করে রোজ একটি করে আমলকি খেতে পারেন। চুলের গোড়া মজবুত করতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার।
আমলকির রস কেন খাবেন না?
গোটা আমলকি আর আমলকির রস, দুইয়েরই স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। তবে গোটা একটি আমলকি রোজ নিয়ম করে চিবিয়ে খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর। আমলকির রস করে খেলে তাতে ডায়াটরি ফাইবার বাদ পড়ে যায়। হজমশক্তি আর বিপাকহার বৃদ্ধি করতে ডায়েটরি ফাইবার ভীষণ উপকারী। এ ছাড়া আমলকি চিবিয়ে খেলে অনেক বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। বাজার থেকে কেনা আমলকির রসে রাসায়নিক এবং অনেক সময় চিনি মেশানো থাকে, যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।