শুতে যাওয়া এবং রাতের খাওয়ার সময়ের মধ্যে ঘণ্টা দুয়েকের ব্যবধান রাখা জরুরি। —ফাইল চিত্র।
কাজ থেকে ফিরে মোটেই খেতে ইচ্ছে করে না। একটু জিরিয়ে হাত-পা ধুয়ে নেন কেউ কেউ। আবার ফিরতে যত রাতই হোক না কেন, স্নান না করে থাকতে পারেন না এমন মানুষও রয়েছেন। আবার একেক দিন অফিসে ‘নাইট শিফট’ করে ফিরতেও দেরি হয়ে যায়। তাই রাতের খাবার খেতেও অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। অনেকেই মনে করেন, এই অভ্যাসে দেহের মেদ বে়ড়ে যায়। শুধু কি তাই? রাত করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে। তেমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক গবেষণা। বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট অফ গ্লোবাল হেল্থ তাদের গবেষণায় এমন তথ্যই তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়েছে, যাঁদের রাত ৯টার পর খাবার খাওয়ার অভ্যাস, খাওয়া এবং শোয়ার মাঝে ঘণ্টা দুয়েকের ব্যবধান রাখতে পারেন না, তাঁদের মধ্যে ২৫ শতাংশের শরীরে ক্যানসারের যোগ রয়েছে।
মানব শরীর একটি নির্দিষ্ট ঘড়ি মেনে চলে। এই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া এবং ঘুমেরও সময় নির্দিষ্ট থাকে। সেই দেহঘড়ির নিয়ম অনুযায়ী রাত ৯টার পর শরীরের সমস্ত কলকব্জা সুপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেই সময়ে যদি খাবার খেয়ে প্রায় বন্ধ হতে চলা কলকব্জা আবার চালু করতে হয়, সে ক্ষেত্রে দেহঘড়ির ছন্দে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেরই পরামর্শ, শুতে যাওয়া এবং রাতের খাওয়ার সময়ের মধ্যে ঘণ্টা দুয়েকের ব্যবধান রাখা জরুরি। যদিও এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে গেলে আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy