পোলিয়োর নতুন টিকা তৈরি করছেন ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ লিড্সের বিজ্ঞানীরা। এই টিকা আরও কার্যকর হবে বলেই দাবি বিজ্ঞানীদের। যদিও টিকাটি এখনও বাজারে আসেনি, গবেষণার স্তরেই রয়েছে। মানুষের শরীরে পরীক্ষানিরীক্ষার পরে যদি সাফল্য আসে, তা হলেই সেটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিকিউলার ভাইরোলজি বিভাগের গবেষক ডেভিড রাওল্যান্ডস ও নিকোলা স্টোনহাউস পোলিয়োর টিকা নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁদের গবেষণার ফলাফল ‘নেচার কমিউনিকেশন’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এত দিন নিষ্ক্রিয় পোলিয়ো ভাইরাস নিয়ে টিকা তৈরি হত। একে বলা হয় ‘ইনঅ্যাক্টিভেটেড পোলিয়ো ভ্যাকসিন’ (আইপিভি)। যে হেতু শিশুদের এই টিকা দেওয়া হয়, তাই সংক্রামক পোলিয়ো ভাইরাসকে আগে নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে, তার পর তার দেহাংশ নিয়ে টিকা তৈরি হত। কিন্তু এ বার সেই পদ্ধতিতে বদল আনা হয়েছে। নানা রকম উদ্ভিজ্জ কোষ, কীটপতঙ্গের কোষ থেকে প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই প্রতিষেধক আগেরটির থেকেও ভাল কাজ করবে এবং পোলিয়ো দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা নেবে।
আরও পড়ুন:
জন্মের পরেই পোলিয়ো টিকা খাওয়ানো হয় শিশুকে। তার পরে দেড়, আড়াই ও সাড়ে তিন মাস এবং দেড় বছর বয়সে পোলিয়ো টিকা খাওয়ানো হয়। দেড় ও সাড়ে তিন মাসে দেওয়া হয় ইঞ্জেকটেব্ল পোলিয়ো টিকা। তবে এখন এ দেশেও পোলিয়ো কর্মসূচিতে কিছু বদল এসেছে। পোলিয়ো দূরীকরণের জন্য তিন মাসের পরে ফের ন’মাসেও পোলিয়ো টিকার তৃতীয় ডোজ় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আগামী দিনে ওরাল টিকা পুরোপুরি বন্ধ করে ইঞ্জেকশনেই পুরো টিকাপর্ব সম্পন্ন করারই পরিকল্পনা রয়েছে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, নতুন টিকার ডোজ় ইঞ্জেকশনের মাধ্যমেই দিতে হবে। এই টিকার অনুমোদন পাওয়া গেলে সেটি অনেক কম দামে বাজারে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে।