কয়েক দশক ধরে বলিউডে রাজ করছেন সলমন খান। ১৯৮৮ সালে তাঁর বলিউড সফর শুরু। তার পর থেকে ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেছেন বলিউডের ‘ভাইজান’। সলমনের ফিটনেস ঈর্ষান্বিত হওয়ার মতো। তাঁর বয়স ৫৯ পেরিয়েছে। কিন্তু তাঁকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। এই বয়সেও অভিনেতার ফিট থাকার কৌশল অনুপ্রেরণা জোগায় অনেককেই। ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসাবে প্রায় ২০ বছর ধরে কাজ করছেন রাকেশ আর উদ্দিয়ার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সলমনের ফিট থাকার রহস্য ফাঁস করেছেন তিনি।
শরীরচর্চার ক্ষেত্রে নতুন নতুন আদবকায়দা শিখতে নারাজ সলমন। রাকেশ বলেন, ‘‘সলমন ‘হাই ইনটেনসিটি ইনটারভাল ট্রেনিং’ করেন। এই ধরনের শরীরচর্চার ফাঁকে বিশ্রাম নেন অনেকেই। তবে সলমন একেবারেই বিশ্রাম নেন না। আর জিমে ব্যায়াম করার সময় তিনি এসি বন্ধ রাখতেই পছন্দ করেন। ইনক্লাইন, পুশ আপ, ফ্লাইয়ের মতো প্রায় ১০ ধরনের ছাতির ব্যায়াম করেন তিনি। একটা শেষ করেই করেই পরেরটা ধরে ফেলেন, বিশ্রাম নেন না। শরীরচর্চার মাঝে মাঝে তিনি পরিমিত মাত্রায় জল খেতে ভোলেন না। ‘হাই ইনটেনসিটি ইনটারভাল ট্রেনিং’ ধরনের শরীরচর্চায় কম সময়ে বেশি পরিমাণ ক্যালোরির খরচ হয়। এই ধরনের শরীরচর্চায় ঘাম বেশি হয়, শরীরে ক্লান্তিও আসে বেশি।’’
শুধু শরীরচর্চার সময় নয়, সলমন সারা দিন থাকেন বেশ কড়া নিয়মের মধ্যে। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়েন অভিনেতা। তার পর কিছুটা সনয় কার্ডিয়ো করেন। কার্ডিয়ো শেষ করে তিনি ওয়েট ট্রেনিং করে। সকালে সময় না পেলে দিনে এক বার অন্তত শরীরচর্চা নিয়ম করে করেন তিনি। শরীরচর্চা না করে তিনি ঘুমোতে যান না। রাকেশের মতে সপ্তাহে ৬ দিন শরীরচর্চা করেন সলমন। ১ দিন বিশ্রাম নেন। শুটিংয়ের ফাঁকে কার্ডিয়ো করতে না পারলেও ওয়েট ট্রেনিং কখনওই বাদ দেন না তিনি।
রীরচর্চার ক্ষেত্রে নতুন নতুন আদবকায়দা শিখতে নারাজ সলমন। ছবি: সংগৃহীত।
খাবার নিয়ে বেশ খুঁতখুঁতে সলমন। রাকেশ বলেন, ‘‘মায়ের হাতের তৈরি খাবার ছাড়া সলমন কিছু খেতে চান না। ওর সামনে যতই ভাল-মন্দ খাবার পরিবেশন করুন না কেন, সলমন বাড়ি থেকে যে খাবার আনেন সেটাই খান। সারা দিনে পাঁচ বার অল্প অল্প করে খান তিনি। সকালে ডিম, পোরেজ আর ফল। দুপুরে ভাতের সঙ্গে সব্জি, স্যালাড আর মাছ কিংবা মাংস।’’
সলমনে ফিটনেস প্রশিক্ষকের মতে সপ্তাহে একটা দিন তিনি নিজের পছন্দ অনুযায়ী খাবার খান। বিরিয়ানি খেতে সলমন খুব ভালবাসেন। তবে সারা দিনের খাবারের ক্যালোরি যেন ২০০০ মধ্যে থাকে, সেটা কিন্তু মাথায় রেখে চলেন অভিনেতা।