ওজন বেড়ে গেলে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। দ্রুত ওজন কমাতে জিমে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে ডায়েটে রকমারি বদল আনতে শুরু করেন। মুখে ব্রণ বেরোলে, তা নিয়েও শুরু হয় চিন্তা। তবে শরীরে যাতে কোনও জটিল অসুখ বাসা না বাঁধে, তা নিয়ে কি আদৌ কোনও সচেতনতা রয়েছে? দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু কাজ করা হয়, যা কোনও না কোনও ভাবে ক্যানসার, হৃদ্রোগ, ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। অনেক সময় জেনেবুঝেও সেই ভুল করে বসেন অনেকে। এক বার এই জটিল অসুখগুলি ধরা পড়ে গেলে আর কিছু করার থাকে না, যত দিন যায় ততই বাড়তে থাকে প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় মাসের খরচও।
দিল্লির চিকিৎসক ব্রিজমোহন অরোরার মতে, রোজের জীবনে কয়েকটি বিষয় সচেতন থাকলেই কিন্তু ওষুধের পিছনে হাজার হাজার টাকা খরচ কমতে পারে। ৭টি অভ্যাসের কথা উল্লেখ করেছেন চিকিৎসক।
১) নিয়মিত রুটিন রক্ত পরীক্ষা করান।
২) রক্তের শর্করার মাত্রা আর রক্তচাপ মিয়ম করে পরিমাপ করুন।
৩) শরীরে কোনও রকম অস্বস্তি হলে, বা কোনও রকম অস্বাভাবিক বদল চোখ পড়লে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। অবহেলার কারণে অনেক সময় জটিল রোগের উপসর্গ ধরা পড়ে না।
৪) নিজেই নিজের চিকিৎসক হবেন না। কোনও সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই ওষুধ খেয়ে ফেলেন অনেকে, এই অভ্যাস কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে শরীরের।
৫) প্রেসক্রিপশন মেনে চলুন। ধরুন, চিকিৎসক প্রেশক্রিপশনে লিখলেন নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ মাস ছয়েক খাওয়ার জন্য, অনেকেই কিন্তু মাস দুয়েক খেয়েই ওষুধ বন্ধ করে দেন। প্রেসক্রিপশন যদি লেখা থাকে বছরখানেক পরে আবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সুস্থ হয়ে গেলে অনেকেই আর চিকিৎসকের কাছে যান না, ফলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
৬) সমাজমাধ্যমে দেখে বা বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে সাপ্লিমেন্ট খেতে শুরু করবেন না।
৭) ওষুধ সময়ে খান, তবেই কিন্তু কাজ দেবে। নিয়ম করে ওষুধ না খেলে কোনও লাভ হবে না।