কঠোর শরীরচর্চা, উপবাস, কোনও রকমের কৃচ্ছ্রসাধনের পথে হাঁটেননি তিনি। উপরন্তু রোজ মধ্যাহ্নভোজে দেশি ঘি থাকা চাই-ই চাই। তার পরও মাত্র ৬ মাসে ১২ কিলোগ্রাম ওজন ঝরিয়ে ফেললেন অভিনেত্রী শেহনাজ় গিল। আপনিও যদি ওজন কমানোর লক্ষ্য নিয়ে থাকেন, ‘বিগ বস্’ তারকাকে অনুসরণ করে দেখতে পারেন। কিছু না খেয়ে শরীর ভেঙে ফেললে কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পারবেন না। বরং বার বার খাবার খেতে হবে। কিন্তু কতখানি খাবেন, কী কী খাবেন, সেটিই হল আসল প্রশ্ন। শেহনাজ়ের ডায়েটে চোখ রাখতে পারেন।
প্রাতরাশ: প্রোটিনে ভরা জলখাবার খান শেহনাজ়। সব্জি দিয়ে বানানো চিঁড়ের পোহা থাকে সকালের খাবারে। শেহনাজ়ের কথায়, ‘‘আমার ব্রেকফাস্টে চিঁড়ে কম, সব্জির পরিমাণ বেশি। সঙ্গে টক দই এবং গ্র্যানোলা খাই।’’
শেহনাজ় জানিয়েছিলেন, কোভিডের লকডাউনের সময়ে এই রুটিন শুরু করেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যাহ্নভোজ: এক দিকে খাদ্যরসিক, অন্য দিকে ডায়েটের চোটে বিস্বাদ খাবার খেতে হয়। অনেকেই সংযম করতে গিয়ে নিজেকে কষ্ট দিয়ে ফেলেন। তবে শেহনাজ় কিন্তু সে সবের ধার ধারেননি। সুস্বাদু ডায়েট মেনেই ছিপছিপে চেহারা পেয়েছেন তিনি। নায়িকার দুপুরের খাবারের তালিকা শুনেই জিভে জল আসবে। দেশি ঘি মাখানো একটি রুটি, প্রোটিন ও ফাইবারে ভর্তি ডাল, সঙ্গে এক বাটি তরকারি। স্প্রাউটসের স্যালাড থাকে পাশে।
স্ন্যাকস: খিদে পাক বা না পাক, মিল বাদ দেন না শেহনাজ়। সন্ধ্যার খাবারে হালকা পেট ভরানোর জন্য এক বাটি মাখানা। শুটে গেলে সঙ্গে মাখানা নিয়ে যান তিনি। অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে তাতে।
নৈশভোজ: রাতের খাবারে এক বাটি খিচুড়ি খান অভিনেত্রী। প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য উপযুক্ত পদ, যাতে বেশি রাতে ফের খিদেও পাবে না। সকালের মতো রাতেও টক দই থাকে পাতে। সঙ্গে লাউয়ের রস খান শেহনাজ়।
আরও পড়ুন:
শেহনাজ় জানিয়েছিলেন, কোভিডের লকডাউনের সময় এই রুটিন শুরু করেন। সে সময়ে রোজ তিনি একটি বা দু’টি পদই খেতেন। নানা ধরনের পদে পাত ভরিয়ে ফেলায় পক্ষপাতী ছিলেন না। তবে পরিমাণ কমিয়ে ফেলেছিলেন খাবারের। দু’টি রুটি খেতে ইচ্ছে করলে একটি রুটি খেতেন। শেহনাজ় বলেন, ‘‘কোনও শরীরচর্চা ছাড়া, কেবল খাবার খাওয়ার নতুন কৌশলেই আমি ওজন কমিয়ে ফেলতে পেরেছি।’’ তবে আইসক্রিম, চকোলেট বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন জীবন থেকে।