ড্রাই ফ্রুট্স এমনিতে শরীরের জন্য ভাল। সকালে উঠে ভেজানো কাঠবাদাম খেতে বলেন অনেক পুষ্টিবিদই। কাজের ফাঁকে মুখরোচক কিছু না খেয়ে মাঝেমধ্যে ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কিন্তু ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার নিয়ম আছে। রাতবিরেতে মুঠো মুঠো ড্রাই ফ্রুটস খেতে থাকলে রক্তে শর্করা আরও বেড়ে যাবে। অনেকেরই প্রশ্ন থাকে, ডায়াবিটিস থাকলে ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া যাবে কি না। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ড্রাই ফ্রুটস ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফাইবারে ভরপুর। তবে তাজা ফলের জলীয় অংশ শুকিয়ে ড্রাই ফ্রুটস তৈরি হয়, তাই এতে প্রাকৃতিক চিনি (ফ্রুক্টোজ়) ও ক্যালোরির ঘনত্ব অনেক বেড়ে যায়। ডায়াবিটিসে ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া যায়, তবে খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। কিছু ড্রাই ফ্রুটস না খাওয়াই ভাল।
কোনগুলি খাবেন না?
‘ইউরোপীয়ান জার্নাল অফ নিউট্রিশন’-এ বলা হয়েছে, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে কাঠবাদামের। কারণ, এই বাদামে কার্বোহাইড্রেট কম এবং ফাইবার বেশি। তবে কিশমিশ খেলেই মুশকিল। কিশমিশের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন:
ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার ও আয়রনে সমৃদ্ধ খেজুর শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। কিন্তু খেজুরে শর্করার পরিমাণ বেশি। ডায়াবেটিকদের জন্য এই ফল খাওয়া ঠিক নয়।
আখরোট শরীরের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে, ডায়াবিটিসে খাওয়া ভাল। তবে শুকনো ডুমুর একেবারেই চলবে না। খুব বেশি পরিমাণে এই ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রায় হঠাৎ পরিবর্তন আসতে পারে।
শুকনো অ্যাপ্রিকট পুষ্টিকর হলেও ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য উপকারী নয়। এতে প্রাকৃতিক শর্করার মাত্রা এতটাই বেশি যে, ডায়াবিটিসের রোগীরা যদি এটি খাওয়া শুরু করেন, তা হলেই বিপদ।