শীতের দিনে দুপুরে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা ভাত, পাতলা মুসুর ডাল আর আলুভাজা। অনেকের কাছেই এই খাবার অমৃতের সমান। তবে খাওয়াদাওয়াটা ঠিক মতো সারতে হলে এক টুকরো লেবু চাই-ই-চাই। বিয়েবাড়িতেও গরম খাবারের সঙ্গে লেবু দেওয়ার চল রয়েছে। অনেকে গরম স্যুপে লেবুর রস মিশিয়ে খান। কেবল ডাল নয়, গরমাগরম পাতলা মাছের ঝোল, মাংসের ঝোলের সঙ্গেও অনেকে লেবু চিপে খান। অনেকেই আবার স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সকাল সকাল গরম জল লেবু মিশিয়ে খান।
লেবুতে থাকা ভিটামিন সি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ত্বক, চুল, শরীর, হাড়— সব কিছুই যত্নে রাখে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দাঁত ভাল রাখতেও ভিটামিন সি দারুণ উপকারী। ভিটামিন সি ছাড়াও লেবুতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ফসফরাস— যেগুলি শরীরের অন্দরে তৈরি হওয়া নানা রকম সমস্যার সমাধান করে। লেবু তো খাচ্ছেন, কিন্তু উপকার পাচ্ছেন কি? গরম খাবারের সঙ্গে লেবু খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? লেবুর রস গরম কোনও খাবারের সংস্পর্শে এলে তার পুষ্টিগুণ কমে যায়। লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি শরীরে প্রবেশ করার আগেই নষ্ট হয়ে যায়।
মেদ ঝরাতে সকালে উঠে গরম জলে লেবু-মধু মিশিয়ে খেয়েও লাভের লাভ কিন্তু কিছুই হবে না। গরম জলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভিটামিন সি পুরোপুরি শরীরে যায় না। বেশির ভাগটাই গরমের তাপে নষ্ট হয়ে যায়। তাই কোনও সুফলই পাওয়া যায় না।
তা হলে কী করণীয়?
গরম ধোঁয়া উঠছে এমন কোনও খাবারে লেবুর রস না মেশানোই ভাল। যে খাবারের সঙ্গে লেবুর রস মেশাতে চাইছেন, সেটি যদি গরম হয়ে থাকে, তা হলে আগে ঠান্ডা করে নিন। খাবারটি ঘরের তাপমাত্রায় চলে এলে তাতে লেবুর রস চিপে দিন। এতে কোনও সমস্যা নেই। সকালে একেবারে ফুটন্ত জলে নয়, ঈষদুষ্ণ জলে লেবু চিপে খেতে পারেন।