লিভারের রোগ সারে না, এমন ভুল ধারণা আছে অনেকেরই। সঠিক সময়ে রোগ চিহ্নিত করে চিকিৎসা শুরু হলে লিভারের অসুখ সারিয়ে তোলা সম্ভব। লিভারের দীর্ঘ দিনের কোনও অসুখ থাকলে, জন্ডিস হয়ে থাকলে কিংবা অতিরিক্ত মদ্যপান করলে লিভারের ক্ষত বাড়তে থাকে। তা থেকেই পেটের নানা সমস্যা দেখা দেয়। সামান্য খলেই পেটভার, পেট ফাঁপার সমস্যা, প্রতি দিন গ্যাস-অম্বলের কারণও হতে পারে লিভারের রোগ। সচেতনতার অভাব ও রোজকার যাপনে অসংযমের কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লিভারের রোগ ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। আর অসুখ ধরা পড়লেই কড়া ওষুধ খেতে হয়, যেগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও মারাত্মক। কাজেই শুধু ওষুধের উপর ভরসা না করে, সুষম ডায়েট ও ঠিকমতো শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। এমন কিছু যোগাসন আছে, যেগুলি নিয়মিত অভ্যাস করলে লিভারের সমস্যার সমাধান হবে।
কোন কোন আসন অভ্যাসে লিভার ভাল থাকবে?
পশ্চিমোত্তাসন
পশ্চিমোত্তাসন। ছবি: ফ্রিপিক।
প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে দু’ হাত তুলে মাথার দু’পাশে উপরের দিকে রাখুন। আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’ হাত দিয় জোড়া পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন। দু’টি পায়ের মাঝখানে কপাল ঠেকান। হাঁটু ভাঁজ হবে না। এ অবস্থায় শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।হজমশক্তি ভাল রাখতে ও পেটের মেদ ঝরাতে আসনটি রোজ করতে পারেন।কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ যে কোনও পেটের সমস্যা কমাতে আসনটি উপযোগী।
আরও পড়ুন:
সেতুবন্ধাসন
সেতুবন্ধাসন। ছবি: ফ্রিপিক।
ম্যাটের উপরে টানটান হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত দু’পাশে রাখুন। এ বার হাঁটু ভাঁজ করে পা মুড়ে দুই পায়ের পাতা নিতম্বের কাছে আনুন। পিঠ ও কোমরের উপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে কোমর উপরে তুলুন। শরীর বাঁকাবেন না, কোমরের অংশটুকুই উপরে তুলতে হবে। ওই ভঙ্গিতে ২০ সেকেন্ডের মতো থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসুন।
মালাসন
মালাসন। ছবি: ফ্রিপিক।
বেশ সহজ একটি যোগাসন। প্রথমে মাটিতে বসুন। তার পর দুই পা দু’দিকে দিয়ে উঁচু হয়ে বসুন। দু’পা যথাসম্ভব কাছাকাছি রাখুন। হাত দু’টি নমস্কারের ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করে রাখুন। টানা ৩-৪ মিনিট এই আসনে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আসুন। নিয়মিত অভ্যাস করলে গ্যাস-অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে, লিভারও ভাল থাকবে।