Advertisement
E-Paper

জুস না কি স্মুদি, কী ভাবে ফল এবং সব্জি খেলে উপকার বেশি? ওজন ঝরানোয় পারদর্শী কোনটি

গোটা ফল বা সব্জির বিকল্প নেই বটে, কিন্তু উপায় না থাকলে জুস আর স্মুদির মধ্যে কোনও একটি বেছে নেওয়াই যায়। কিন্তু এই দু’য়ের মধ্যে কোনটি উপকারী, সেটি জেনে নিন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ ১৭:২৩
জুস না কি স্মুদি, কোনটি খাবেন?

জুস না কি স্মুদি, কোনটি খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।

মা-ঠাকুরমারা বলেন, ফলের রসের চেয়ে গোটা ফল খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর। কারণও খুব স্পষ্ট। ফল বা সব্জি নিংড়ে রস করলে তার থেকে অধিকাংশ ফাইবারই বেরিয়ে যায়। এই ফাইবারই হজমক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে এবং রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। কিন্তু স্মুদির ক্ষেত্রে এই সূত্রটি কার্যকর নয়। যদিও গোটা ফল এবং শাকসব্জি খেলে উপকার বেশি মিলবে, তাও রস এবং স্মুদির অবদান পুরোপুরি অগ্রাহ্য করা যায় না। প্রতি দিন যে পরিমাণ ফল, সব্জি খাওয়া দরকার, সেই চাহিদা পূরণ করার জন্য যদি কেউ ফল এবং সব্জির রস বা স্মুদি বেছে নেন, তা অস্বাস্থ্যকর নয়। কিছু না খাওয়ার চেয়ে রস বা স্মুদি খাওয়া ভাল। কিছু পরিমাণ পুষ্টিগুণ তো অবশ্যই মিলবে।

কোনটি খাওয়া বেশি ভাল, ফল বা সব্জির রস, না কি স্মুদি?

১। স্মুদিতে ফাইবার থাকে। স্মুদিতে গোটা ফল এবং শাকসব্জি, খোসা, পাল্প, বীজ— সব কিছু মিশ্রিত থাকে। এটি হজমে সাহায্য করে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে। জুস বা রসে সাধারণত ফাইবার থাকে না। জুস কেবলই তরল অংশটি বার করে। তাই জুসে ফাইবার আর থাকে না। যদিও পাল্পসমেত জুসে ফাইবার থাকে। জুসে থাকা চিনি রক্তপ্রবাহে দ্রুত প্রবেশ করে। যার ফলে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।

২। স্মুদি অনেক বেশি ঘন হয়। স্মুদিতে পেট বেশি ভরে যায়। বিশেষ করে যখন এর সঙ্গে দই, প্রোটিন পাউডার, বাটার মিল্কের মতো জিনিস মিশিয়ে খাওয়া হয়, তা অনেক ক্ষণ পেটে থাকে। জুসে ক্যালোরি কম থাকলেও, ফাইবার না থাকায় ফের খিদে পেতে পারে। আর তাতেই ওজন বেড়ে যেতে পারে।

৩। জুসে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) সাধারণত বেশি থাকে। ৬৫-৮৫ এর মধ্যে। কারণ, এগুলি দ্রুত চিনি সরবরাহ করে। স্মুদিতে একই পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকলেও, ফাইবারের কারণে সেই চিনি ধীরে ধীরে শরীরের প্রবেশ করে। প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে বলে আরও প্রশমিত হয়ে যায় চিনির প্রভাব। ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে স্মুদিতে বীজ থাকে, সেগুলি খেলে ব্লাড সুগার বেশি নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনকি ফলের থেকেও বেশি।

৪। স্মুদিতে ফাইবার থাকায় এবং তা ঘন হওয়ায় লালা উৎপাদন দ্রুত হয়। এর ফলে দাঁতের এনামেল পরিষ্কার থাকে। জুস অ্যাসিডিক হয়। অনেক ক্ষেত্রেই চিনির পরিমাণ বেশি। ফলে জুস খেলে দাঁতে আবরণ তৈরি হতে পারে এবং দাঁতের এনামেল ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে।

Fruit Juice healthy smoothies for diabetes Vegetable Juice Health Tips Healthy Lifestyle
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy