৬৫ বছরের সুপারস্টার। পর্দায় তাঁর কাজ দেখলে বয়স বুঝতে বেগ পেতে হয়। আক্কিনেনী নাগার্জুন গত বছরও ‘না সামি রঙ্গ’-তে দুর্দান্ত স্টান্ট দেখিয়ে চমকে দিয়েছেন। আর তার রহস্য লুকিয়ে ফিটনেসেই। নয়তো এই বয়সে কঠিন অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করা সহজ নয়। কিন্তু কী ভাবে ফিট থাকতে পছন্দ করেন নাগার্জুন?
কৃচ্ছ্রসাধনে বিশ্বাসী নন নাগ চৈতন্যের বাবা। অনেকেই যেমন রাতের খাবার বাদ দিয়ে দেন অথবা খুব হালকা খাবার খান, তেমন অভ্যাস নেই নাগার্জুনের। তিনি রাতে ভাত, মুরগির মাংস, মাছ খান। সঙ্গে থাকে স্যালাড। কিন্তু একটি নিয়ম পালন করেন তিনি। নাগার্জুনের কথায়, ‘‘আমি অনেকটাই আগে খেয়ে নিই। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে। এ ভাবেই যাপন আমার।’’ এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করেন। এই রুটিন গত ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে মেনে চলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
কেবল নাগার্জুন নয়, করিনা কপূর খান-সহ আরও অনেক অভিনেতাই সন্ধ্যায় নৈশভোজ করার পক্ষপাতী। ছবি: সংগৃহীত।
কেবল নাগার্জুন নয়, করিনা কপূর খান-সহ আরও অনেক অভিনেতাই সন্ধ্যায় নৈশভোজ করার পক্ষপাতী। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিনের শেষ খাবার খান করিনা, অনুষ্কার সাড়ে ৫টায়, বিকেল ৩টে নাগাদ নৈশভোজ সারেন মনোজ বাজপেয়ী। এমনই অনেক অভিনেতার তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়ার অভ্যাস। কিন্তু এই রুটিন কি আদৌ স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল না কি কেবলই ট্রেন্ড?
‘পাবমেড’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে নিলে টানা ২৪ ঘণ্টা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পর দিনের প্রাতরাশের পর ‘লিপিড মেটামলিজ়ম’ উন্নত হয়। সন্ধ্যার মধ্যে খাবার খেলে ঘুমোনোর আগে শরীর খাবার হজম করার জন্য যথেষ্ট সময় পায়। কিন্তু বেশি রাতের দিকে শরীরকে একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে হয়, ঘুম আনানোর কাজটাই তখন আসল। সে সময়ে নৈশভোজ করলে হজম করতে কষ্ট করতে হয় শরীরকে। এর ফলে অম্বল, পেট ফাঁপা, ঘুমের ব্যাঘাত, এমনকি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওজনও বৃদ্ধি পেতে পারে।
সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে খাবার খেলে আপনার শরীর রাতে ঘুম আনানোর কাজটি সহজে করতে পারে। এর ফলে ঘুম থেকে উঠে হালকা বোধ হয়। ঘুমোনোর কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত।