দৈনন্দিন অভ্যাসে ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে পেট সুস্থ রাখা সম্ভব। কিন্তু অনেক সময়েই তা বোঝা যায় না। ফলে অজান্তে অনেকেই অসুস্থ হন। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি অভ্যাস পরিবর্তন করলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
আরও পড়ুন:
দুপুরের খাবারের পর চা-কফি
দুপুরের খাবারটি সারা দিনের ক্যালোরির অনেকটা অংশ দখল করে থাকে। তাই দুপুরের খাবার হজমের জন্যেও সময় বেশি প্রয়োজন। কিন্তু যাঁরা দুপুরের খাবারের পর চা বা কফি পান করেন,তাঁদের ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। কারণ চায়ের ট্যানিন এবং কফির ক্যাফিন দেহে দীর্ঘ ক্ষণ উপস্থিত থাকে। ঘুম থেকে ওঠার ৮ ঘণ্টার মধ্যে চা-কফি পান করা হলে তা দেহে মেলাটোনিন তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তার ফলে শারীরিক বিশ্রাম বিঘ্নিত হয়। তবে সকালে চা-কফি পান করা যেতে পারে। কিন্তু সূর্যাস্তের পর পান করলে সে ক্ষেত্রে রাত্রে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
খাবারের মাঝে স্ন্যাক খাওয়া
অনেকে প্রাতরাশ, দুপুর এবং রাতের খাবার ছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে স্ন্যাক খান। মনে রাখা উচিত স্ন্যাক খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং ইনসুলিনের মাত্রা ত্বরান্বিত হয়। ঘন ঘন এই ঘটনায় দেহে হরমোনের তারতম্য ঘটতে পারে, যার ফলে ব্যক্তির ওজন বৃদ্ধি পায়। সব মিলিয়ে পেটের সমস্যাও বৃদ্ধি পায়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা
ব্যস্ত জীবনে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস বৃদ্ধি পেয়েছে। নুডল্স থেকে শুরু করে সসেজ— এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে নুন থাকে। পাশাপাশি খাবারটিকে দীর্ঘ দিন টাটকা রাখার জন্য নানা ধরনের রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়। এই ধরনের খাবার নিয়মিত খেতে শুরু করলে শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এমনকি দীর্ঘকালীন পরিস্থিতিতে মস্তিষ্কেরও ক্ষতি হতে পারে।