পরীক্ষা করার সময়ে কী কী মাথায় রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কিন্তু কোনও বয়স নেই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের স্তনেই ক্যানসার থাবা বসাতে পারে। যে কোনও রোগের ক্ষেত্রেই সচেতনতা জরুরি। ক্যানসারের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি। কারণ, যত তাড়াতাড়ি এই মারণরোগ ধরা পড়ে, নিরাময়ের সুযোগও অনেকাংশে বেড়ে যায়। তবে, তার জন্য রোগ এবং তার লক্ষণগুলি সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি। ত্বকের উপর ফুটে ওঠা সাধারণ কিছু লক্ষণ থেকেই কিন্তু তা ধরে ফেলা সম্ভব। চিকিৎসকেরা বলেন, স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু পরীক্ষা নিজেরাই করতে পারেন। রোগ প্রতিরোধে এই ‘সেল্ফ এগজ়ামিনেশন’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে, সেই পরীক্ষার কিছু নিয়ম রয়েছে।
কী ভাবে নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করবেন?
১) পোশাক খুলে আয়নার সামনে দাঁড়ান।
২) এ বার দু’টি স্তনের আকার, আকৃতি সমান কি না, ভাল করে পরীক্ষা করুন।
৩) দুই স্তনের মধ্যে মাপের সামান্য এ দিক-ও দিক হতেই পারে। তাতে অসুবিধের কিছু নেই।
৪) এ বার দুই হাত মাথার উপর তুলে দাঁড়ান। হাতের অবস্থান যেন একেবারে সোজা থাকে।
৫) এই অবস্থায় আবার স্তনের আকার ভাল করে লক্ষ করুন। দু’টি স্তন এবং স্তনবৃন্ত মোটামুটি এক সরলরেখায় থাকার কথা।
৬) যদি কোনও একটি স্তন সামান্য ঝুলে থাকে বা স্তনের ত্বকের রঙে কোনও পরিবর্তন চোখে পড়ে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৭) এ বার নজর দিন স্তনবৃন্তের দিকে। ত্বকের রং, আকারে পরিবর্তন দেখতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। স্তনবৃন্তের মুখে যদি অবাঞ্ছিত কোনও স্ফীতি চোখে পড়ে, তা হলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
৮) এ বার নিজের হাতের তালু দিয়ে স্তনের চারপাশ ভাল করে পরীক্ষা করে দেখুন। স্তন সাধারণত নরম, মাংসল অংশ। তার মধ্যে হাতের তালুতে যদি শক্ত কোনও ডেলাজাতীয় কিছু ঠেকে, তা ভয়ের কারণ হলেও হতে পারে। তালু ছুঁয়ে বুঝতে অসুবিধা হলে হাতের প্রথম তিনটি আঙুল দিয়েও এই পরীক্ষা করা যেতে পারে।
৯) স্তন পরীক্ষার পর ভাল করে লক্ষ করুন বাহুমূল। স্তনে তেমন কিছু না থাকলেও টিউমার কিন্তু থাকতে পারে বাহুমূলে। আবার সুপ্ত অবস্থায় স্তনে থাকা টিউমারের শিকড় ছড়িয়ে যেতে পারে বাহুমূল পর্যন্ত।
১০) অন্তঃসত্ত্বা নন, আবার স্তন্যপানও করান না। তবুও যদি স্তনবৃন্ত থেকে ঘোলাটে কোনও তরল নিঃসৃত হয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy