চিউইং গাম চিবোলে বা চুষলে মুখে লালার মধ্যে থাকা ভাইরাসের সংখ্যাও কমে যায়। ছবি-সংগৃহীত
টিকা বা বুস্টার শুধু নয়, এ বার করোনা ঠেকাতে কাজে আসতে পারে চিউইং গাম। এটিকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ‘চিউইং গাম ফাঁদ’-ও বলা যেতে পারে। পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই একটি তথ্য। এই চিউইং গাম চিবোলে বা চুষলে মুখে লালার মধ্যে থাকা ভাইরাসের সংখ্যাও কমে যায়। ফলে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি কথা বলার সময় তাঁর মুখ থেকে ভাইরাস অন্যের শরীরে ঢুকতে পারে না। গবেষকরা বলছেন, চিউইং গামে থাকে ‘এসিই২ প্রোটিন’ যা মুখের লালায় জমে থাকা ভাইরাসকে নিস্ক্রিয় করে দেয়। এর আগে দেখা গিয়েছিল, করোনায় গুরুতর অবস্থা হলে বাইরে থেকে শরীরে ‘এসিই২ প্রোটিন’ প্রবেশ করানোর পর সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
চিবানো ছাড়াও, কোভিড আক্রান্ত রোগীর লালার নমুনা নিয়ে তার মধ্যে দারচিনি স্বাদযুক্ত এই চিউইং গাম ফেলে দিয়ে গবেষকরা দেখেছেন, দুই ভাবে চিউইং গাম ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে। প্রথমত, কোষের এসি২ রিসেপ্টরকে ‘ব্লক’ করে দেয়। দ্বিতীয়ত, সরাসরি ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে এসি২ প্রোটিন দিয়ে আবদ্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে এটাও দেখা গিয়েছে যে, লালারসে ভাইরাল ‘আরএনএ’-এর মাত্রা এতটাই কমে যাচ্ছে, যে তাকে প্রায় শনাক্তই করা যাচ্ছে না। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার পর ‘সার্স-কোভ২’ দ্বারা সংক্রমিত হওয়া ব্যক্তিদের জন্য এই চিউইং গাম কতটা কার্যকর এবং নিরাপদ তা মূল্যায়ন করতে চাইছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy