বয়স ৪৮ বছর। বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী। ৯০ দশকের জনপ্রিয় গায়িকা, গীতিকার শাকিরার শিল্প আজও চর্চায়। একইসঙ্গে নজরে পড়ে তাঁর সৌন্দর্য এবং ফিটনেস। এই বয়সেও টানটান এবং সক্রিয় তাঁর শরীর। তবে তার নেপথ্যে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম এবং নিয়মানুবর্তিতা। সম্প্রতি তাঁর ফিটনেস প্রশিক্ষক অ্যানা কাইজ়ার সঙ্গীতশিল্পীর ফিটনেসের রহস্য ফাঁস করলেন। শরীরচর্চা এবং খাদ্যাভ্যাসের উপর বিশেষ নজর দেন শাকিরা। গায়িকার ডায়েটের দিকে নজর দিলে বোঝা যাবে, কৃচ্ছ্রসাধনে বিশ্বাসী নন তিনি, বরং শরীরে শক্তি জোগানের জন্য খাবারকে গুরুত্ব দেন। তাই খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম বা খাওয়া বাদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
শাকিরার ফিটনেস। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
শাকিরার খাদ্যাভ্যাস—
অ্যানার কথায় জানা গেল, শরীরচর্চা করার ৪৫ মিনিটের মধ্যে প্রোটিনের চাহিদা মেটান শাকিরা। মেদহীন পেশি তৈরির জন্য খাবারের গুরুত্ব যে প্রচুর, তা জানেন শাকিরা। অ্যানা বলছেন, ‘‘খাবার না খেলে পেশি কখনওই মজবুত হবে না এবং ক্যালোরিও ঝরবে না।’’
সারা দিনে কী কী খান শাকিরা?
সকাল: ডিমের অমলেটের সঙ্গে সব্জি।
দুপুর: প্রোটিনে ভরা স্যালাড।
সন্ধ্যা: পুষ্টিগুণে ভরা খাবার, তা সে সব্জি হোক বা স্যুপ, অথবা প্রোটিন শেক।
রাত: ভাপানো সব্জি এবং প্রোটিন।
শাকিরার ফিটনেস। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
শাকিরা প্রত্যেক ২-৩ ঘণ্টা অন্তর খাবার খান যাতে শরীরে শক্তির জোগান না বন্ধ হয়। ফলে সারা দিন ধরে কর্মঠ থাকতে পারেন গায়িকা। ব্যায়াম করতে করতে খিদে বা তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ডাবের জল রাখা থাকে জিমে। শরীরচর্চার পরে ডাবের জলে চুমুক দেন শাকিরা।
খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি শাকিরা ব্যায়ামের প্রতিও অত্যন্ত নিষ্ঠাবান বলেই দাবি প্রশিক্ষকের। অ্যানা জানালেন, শাকিরার রুটিনে শক্তিবৃদ্ধির পাশাপাশি নাচের অনুশীলনও থাকে। নাচের সঙ্গে কার্ডিয়ো এবং হালকা ভারোত্তোলনের ব্যায়ামও করেন তিনি। শাকিরা যদি খুব ব্যস্ত থাকেন, তা হলে মেশিনে কার্ডিয়ো করে নেন সে দিনের জন্য। কিন্তু নাচভিত্তিক কার্ডিয়োই তাঁর রুটিনের মূল। মজাদার বিষয়, অনুশীলনের একাধিক অংশ নিজের নাচের কোরিয়াগ্রাফিতে ব্যবহার করেন শাকিরা।