সব্জি খেলেও বাড়তে পারে বিপদ। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে সব্জি খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। শাকসব্জি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় সব্জির স্থান শীর্ষে। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত যেকোনও কিছুই সমস্যার সৃষ্টি করে। সব্জির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নেই। স্বাস্থ্যকর হলেও কিছু সব্জি বেশি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। উপকারের বদলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোন সব্জিগুলি খাওয়ার ব্যাপারে বাড়তি সচেতন থাকা জরুরি?
বিট
বিট খাওয়া শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারি। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের ডায়েটে অনেক সময়ই বিট থাকে। তবে বিট বেশি খেলেও বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। প্রস্রাবের রং লালচে হয়ে যেতে পারে। জিভের সং সাময়িক ভাবে লাল হবেই। তবে এই রং বদল নিয়ে খুব একটা আশঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
লেবু
পাতিলেবুর গুণ নিয়ে আলাদা করে বলার প্রয়োজন হয় না। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পাতিলেবু প্রত্যেক দিন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। তবে লেবুর অম্ল উপাদান বেশি শরীরে গেলেও ক্ষতি হতে পারে। দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। অনেকে শরীরের বিপাক হার বাড়ানোর জন্য খালি পেটে গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খান। কিন্তু যাঁদের অম্বলের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের খালি পেটে অম্ল উপাদান পেটে গেলে হজমে গোলমাল হবে। মারাত্মক পেটে যন্ত্রণাও হতে পারে।
ফুলকপি
ফুলকপিতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটাই কম। তাই যাঁরা কিটো ডায়েট বা লো-কার্ব ডায়েট করেন, তাঁদের ফুলকপির মতো সব্জি খুব প্রিয়। বিশেষ করে কিটো ডায়েটের ক্ষেত্রে, ফুলকপি গুঁড়িয়ে ফুলকপির ভাত তৈরি করেন অনেকেই। তবে এই সব্জিতে গুণ অনেক থাকলেও এমন একটি পদার্থ রয়েছে, যা হজম করা মুশকিল। তাই বেশি খেলেও পেটভার, অম্বলের মতো নানা রকম পেটের সমস্যা হয়েই থাকে। ফুলকপি এমনিতে শীত কালের সব্জি। তবে এখন সারা বছর পাওয়া যায়। বর্ষায় ফুলকপি খেলেও অনেকের সমস্যা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy