Advertisement
০২ মে ২০২৪
Liver Care

মদ্যপান মানেই লিভারের ক্ষতি! আর কোন কোন অভ্যাস অজান্তেই ডেকে আনে লিভারের অসুখ?

অনেকের মতে, কম তেলমশলার খাবার খাওয়া, বাড়ির খাবারে অভ্যস্ত হওয়া, মদ না খাওয়া— এই অভ্যাসগুলিই লিভারকে ভাল রাখার অন্যতম উপায়। কিন্তু এটাই কি যথেষ্ট?

বড়দেরও উচিত লিভার ভাল রাখার উপায়গুলি আয়ত্তে আনা।

বড়দেরও উচিত লিভার ভাল রাখার উপায়গুলি আয়ত্তে আনা। ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:৩৪
Share: Save:

বিশ্ব জুড়ে লিভারের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের কিছু বদভ্যাস ও ভুলের কারণেই শরীরে বাসা বাঁধে লিভারের অসুখ। শিশুদের ক্ষেত্রেও তাদের বাবা-মায়েরা যদি প্রথম থেকেই সচেতন হন, তা হলে জীবনশৈলীর উপর ছোটবেলা থেকেই একটা নিয়ন্ত্রণ তৈরি হবে। বড়দেরও উচিত লিভার ভাল রাখার উপায়গুলি আয়ত্তে আনা।অনেকের মতে, কম তেলমশলার খাবার খাওয়া, বাড়ির খাবারে অভ্যস্ত হওয়া, মদ না খাওয়া— এই অভ্যাসগুলিই লিভারকে ভাল রাখার অন্যতম উপায়। কথাটা খুব একটা ভুল নয়। তবে এগুলোই শেষ কথা নয়। লিভার ভাল রাখতে মেনে চলতে হয় আরও কিছু নিয়মকানুন। কিন্তু কী কী?

ট্রান্স ফ্যাট আছে এমন খাবার থেকে দূরে থাকুন: আমাদের শরীরে কার্বহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাটের সঠিক ভারসাম্য থাকা ভীষণ জরুরি। তবে ইদানীং বাড়ির খাবার নয় বরং রেস্তরাঁর রেড মিট, বাইরের ভাজাভুজি, প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার ইত্যাদি বেশি খেয়ে অভ্যস্ত। আর এর জেরেই শরীরে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়ছে। লিভারের পক্ষে এই ফ্যাট মোটেই ভাল নয়। লিভারের চার পাশে জমতে থাকে এই ফ্যাট। ফলে এই অঙ্গের কার্যকারিতা হ্রাস পায়। তাই খাদ্যতালিকায় পরিমিত মাত্রায় ট্রান্স ফ্যাট রাখুন। তবে শরীরে ফ্যাটেরও প্রয়োজন আছে। কতটুকু খাবেন, পরামর্শ নিন পুষ্টিবিদের থেকে। পাতে রাখতে পারেন অলিভ অয়েল, আখরোট জাতীয় খাবার। এ সবে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে।

ডায়েটে চিনি যত কম রাখবেন ততই ভাল: সহজে রোগা হতে চেয়ে অনেকেই নিজের খুশি মতো ডায়েট প্ল্যান বানিয়ে নেন। চিনি এড়াতে কৃত্রিম চিনির উপরেই ভরসা করেন। এই মনোভাব আগে বর্জন করুন। এতেই আসলে চরম ক্ষতি করছেন শরীরের। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের লিভারের ব্যপক ক্ষতি করে। ফ্রুকটোজ হোক কিংবা কৃত্রিম চিনি লিভারের অসুখ ডেকে আনে। খাদ্যতালিকায় প্রাকৃতিক শর্করা জাতীয় খাদ্য রাখুন।

 ফ্রুকটোজ হোক কিংবা কৃত্রিম চিনি লিভারের অসুখ ডেকে আনে।

ফ্রুকটোজ হোক কিংবা কৃত্রিম চিনি লিভারের অসুখ ডেকে আনে।

চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই বেদনানাশক ওষুধ না খাওয়া: বেশ কিছু পেনকিলার লিভারের উপর কুপ্রভাব ফেলে। টাইলেনল বা কোলেস্টেরলের ওষুধও লিভারের প্রভূত ক্ষতি করে। তাই নিজেই ডাক্তার হয়ে নিজের চিকিৎসা করবেন না। অনেকেই ঘুম না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ঘুমের ওষুধ খেতে শুরু করেন। এই অভ্যাসের কারণে লিভারের জটিল রোগে ভুগতে হতে পারে।

শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেবেন না: শরীর থেকে যতটা টক্সিন বার করে দিতে পারবেন, লিভার ততটাই সুস্থ থাকবে। তাই বেশি করে জল খেতে হবে। তবেই প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যাবে। দিনে কয়েক বার গরম জলে পাতিলেবুর রস দিয়ে সেই জল খান। ডায়েটে রাখুন টকদইয়ের মতো প্রোবায়োটিক। টুকটাক অনিয়ম সামাল দিতে এরাই আপনার সহায়। তেল মশলাদার খাওয়াদাওয়া হলেই ডায়েটে এদের উপস্থিতি বাড়িয়ে দিন।

মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখুন: মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন লিভারের ক্ষতি করে। মানসিক চাপ, বা মন খারাপ ভুলতে অনেকেই খাবার বা মদের মধ্যে নিজেদের মুক্তি খুঁজে পান। এই অভ্যাস থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে। লিভার সুস্থ রাখতে স্ট্রেসের সময় মদ বা খাবার ছোঁবেন না একেবারেই। এই সময় হজম ঠিক মতো হয় না। দিনের পর দিন এমনটা করতে করতে এক দিন কিন্তু লিভারের কাজ করা বন্ধ করে দেবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Liver Care Health Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE